ঢাকা অফিস: দুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড। দুই ব্যক্তির কথোপকথনের এই রেকর্ডের একজন কুলাউড়া এলাকার সংসদ সদস্য সুলতান মনসুর বলে দাবি করা হচ্ছে। এই আলাপচারিতা ফাঁস হওয়ার পর মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মনসুরের ব্যাপক সমালোচনা চলছে। যদিও এই অডিও রেকর্ডের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন সুলতান মনসুর। বুধবার যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ বলেন, ‘আমি এসবের কিছুই জানি না’। এলাকা থেকে মোবাইলে ত্রাণ সহায়তা চাওয়া কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আই ডোন্ট নো।’ এবিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি সুলতান মনসুর। আলাপকারী একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রতাবী গ্রামের বাসিন্দা মুহিন আহমদ। বুধবার মুহিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুহিন আহমদ সকাল ৭টা থেকে বাড়ির বাইরে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা অডিও রেকর্ডের একটি কণ্ঠ মুহিনের বলে নিশ্চিত করেছেন। ওই অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, ফোনদাতা মুহিত আহমদ একজনের ফোনে কল দিয়ে ‘এমপি সাব’ সম্বোধন করে কথা শুরু করেন। তিনি বর্তমান করোনা সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ও সাংসদের এলাকায় না থাকার বিষয়ে জানতে চান। এমন প্রশ্নে ফোনের ওপর প্রান্তের ব্যক্তি, যেটি সুলতান মনসুরের কণ্ঠ বলে দাবি করা হচ্ছে, তিনি ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে ফোনদাতাকে ‘তোমাদের ঘরে গিয়ে আমি রান্না করে দেব নাকি,’ ‘কিসের ত্রাণ। তারা আমার বোনকে বিয়ে করবে, নাকি আমি তাদের বোনকে বিয়ে করব?’- এসব মন্তব্য করতেও শোনা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাসংক্রমণের প্রেক্ষিতে কুলাউড়ার নিম্ন আয়ের মানুষেরা সংকটে পড়লেও সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এখন পর্যন্ত এলাকায় আসেননি। প্রায় ৪ মাস ধরে তিনি নিজ সংসদীয় এলাকায় আসেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সাংসদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি বলেও দাবি তাদের।
অডিও রেকর্ডের ব্যাপারে ‘কিছুই জানি না’, দাবি সুলতান মনসুরের
0
Share.