ঢাকা অফিস: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকলকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সকলে নিজ বাড়িতে অবস্থান করায় কোন কাজকর্ম করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া আবাসনের প্রকল্পের বাসিন্দারা। খাদ্যসংকটে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছে তারা। এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পায়নি তারা। এদিকে আবাসন প্রকল্প টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আজ অবধি কোনো সংস্কার না করায় আবাসনে বসবাসরত প্রায় শতাধিক বাসিন্দা মানবেতর জীবনযাপন করছে। আবাসন প্রকল্পের সভাপতি শুকুর আলী বলেন, প্রায় একশ পরিবার এই আবাসন প্রকল্পে বসবাস করে। এই আবাসন প্রকল্পে বসবাসকারী সকলেই শ্রমিক দিনমজুর একদিন কাজ না করলে খাদ্য সংকটে ভুগতে হয়। অথচ করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক মাস কাজ বন্ধ থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন পার করছি। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কোন খাদ্য সহায়তা আমরা পাইনি। আবাসনের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুরের ছেলে সোলায়মান হোসেন জানান, আবাসনের বাসিন্দারা কাজকর্ম করতে না পারায় খাদ্যসংকটে রয়েছে। এছাড়া আবাসনের ঘরগুলো সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘরের টিনের চাল শত ছিদ্র হয়ে গেছে বর্ষার বৃষ্টির পানি ঘরের মেঝে ভিজে একাকার হয়ে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই এখানকার বাসিন্দারা কাদা পানির সাথে যুদ্ধ করে বসবাস করে। এ অবস্থা সৃষ্টি হাওয়াই প্রকল্প নির্মাণের ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসনের মূল লক্ষ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। অবিলম্বে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক জানান বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড কোনকিছুই জোটেনি তাদের। করণা সংকটের কারণে কোনো খাদ্যদ্রব্য দেয়া হয়নি তাদের। সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন মানবিক কারণে হলেও ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের সরকারি ও বেসরকারি সহায়তা দেওয়া উচিত। ইউনিয়ন পরিষদে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ একেবারেই কম তাই আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দের দাবি জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাটপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
খাদ্য সংকটে অনাহারে দিন পার করছে ভাটপাড়া আবাসনের বাসিন্দারা
0
Share.