বিনোদন ডেস্ক: ফেরদৌস। তারকা অভিনেতা। বাসাতেই সময় কাটাচ্ছেন তিনি। করোনা নিয়ে সচেতন করছেন সাধারণ মানুষদের। বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি-
ঘরে বসে দিনগুলো কেমন কাটছে? : করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০ দিন ধরে বাসায়ই সময় কাটছে। তবে ঘরে বসে কাটানো কঠিন হলেও তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। অভিনয় জীবনে অনেক দেশে গিয়েছি। অনেক বই কিনে এনেছি। কিন্তু পড়ার সুযোগ হয়নি। সেগুলো পড়ছি। সিনেমা দেখছি। শরীর চর্চাও হচ্ছে। বিমানের পাইলট হওয়ায় স্ত্রী তানিয়াকে দেশে-বিদেশে যেতে হয় প্রায়শই। করোনাভাইরাসের এই সংকটের মধ্যেই সম্প্রতি লন্ডন থেকে একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফিরেছেন। এরপর থেকেই স্ত্রী ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক সেলফ কোয়ারেন্টাইনে তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। এ সময় দুই মেয়েকেও অফুরন্ত সময় দিতে হয়েছে। গতকাল [শনিবার] স্ত্রীকে ফেরত পেয়েছি, হা… হা…হা…। এখন সবাই মিলে ভালোই সময় কাটছে।
করোনা সচেতনতায় আপনার পরামর্শ কী? : করোনাভাইরাসের মতো অণুজীবে এখন নাকাল বিশ্ব। অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করছি। নিজে নিরাপদ থাকুন, পাশাপাশি নিরাপদে রাখতে হবে অন্য পরিবারকেও। এ ভাইরাস কিন্তু দরজা ধাক্কা দিয়ে কারও ঘরে ঢুকছে না। যারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তারাই বহন করে ঘরে আনছেন। অপ্রোয়জনে কেউ যেন বাইরে না যান। নিতান্তই যাদের বাইরে যেতে হচ্ছে, তারা যেন ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেকে জীবাণুমুক্ত করে নেন। প্রত্যেকেরই বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও মাস্ক পরা উচিত। চলতি মাস যদি ঘরে থাকতে পারি, তাহলে হয়তো করোনা পরিস্থিতি একটা স্থিতিশীলতার মধ্যে আসবে।
শুটিং বন্ধের আগে কোন কাজগুলো করেছেন? : দুটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছি। শিগগিরই এগুলো প্রচারে আসবে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিজ্ঞাপন ও কোমল পানীয় পণ্যের বিজ্ঞাপনটির নির্দেশনা দিয়েছেন যথাক্রমে সনক মিত্র ও রিপন নাগ। নতুন একটি ছবিতেও অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় তা পিছিয়েছে।
হাতে থাকা ছবির কী অবস্থা? : ‘গাঙচিল’, ‘জ্যাম’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’, ‘যদি একটু সময় পেতাম’ ছবির কাজ করছি। এর মধ্যে অনেক ছবির কাজ প্রায় শেষ। ডাবিং পর্যায়ে রয়েছে কিছু ছবি। আর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ‘চট্টলা এক্সপ্রেস’-এর শুটিং শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।