ইউরোপের চেয়েও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ: কাদের

0

ঢাকা অফিস: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের মহামারি দুর্যোগে জাতি হিসেবে বিভক্তি কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে বসেই এর মোকাবিলা করতে হবে।শুক্রবার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে অনলাইন ভিডিওবার্তায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোর চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে।  করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনায় ডা. মঈনের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিএনপি মহাসচিব এই মৃত্যু নিয়ে অহেতুক দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। করোনা এমন একটি ভাইরাস, যার সংক্রমণ থেকে কেউ-ই রক্ষা পাচ্ছেন না। দেশে দেশে বহু চিকিৎসকও প্রাণ হারাচ্ছেন।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই করোনাভাইরাস ধনী-দরিদ্র, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী- কাউকে রেহাই দিচ্ছে না। তাই এ নিয়ে অহেতুক দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমালোচনা করা মোটেও ঠিক নয়।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দুর্যোগে জাতি হিসেবে বিভক্তি কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। মনে রাখতে হবে, এ লড়াই সবার বাঁচার লড়াই। এ লড়াইয়ে পরস্পর পরস্পরকে সুরক্ষা না দিলে নিজেদের সুরক্ষাই হুমকির মুখে পড়বে।’ সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণ কমিটি গঠন করতে হবে। দলের তৃণমূল পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং ঘরে থাকলে নিশ্চয়ই জয় হবে। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা ইতোমধ্যে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। দলীয় পরিচয়ে কেউ ত্রাণ নিয়ে নয়ছয় করলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ আক্রান্ত। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৪তম। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোর চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে। সংকটকালে সামনে থেকে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনী, গণমাধ্যম এবং জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

Share.