ঢাকা অফিস: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় এনে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টা ২০ মিনিটে ডা. মাসুদকে নিয়ে খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করে হেলিকপ্টারটি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়। রাত ১০টা ১০ মিনিটে এটি ঢাকায় অবতরণ করে। পরে ডা. মাসুদকে করোনার রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড ওই হাসপাতালে নেয়া হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজের ইউরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ১৮ এপ্রিল।তিনি গেস্ট হাউসে থাকছিলেন। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে তাকে সেখানে রেখেই চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। মাসুদ আহমেদ ছাড়াও খুমেকের আরও দুই ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য দুজন হলেন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রনজিৎ কুমার ও শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওমর খালেদ ফয়সাল। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে দেশে বেশ কিছু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রাণ দিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন । গত ৫ এপ্রিল ওই চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। ৭ এপ্রিল রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে ৮ এপ্রিল ঢাকায় পাঠানো হয় তাকে। সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৫ এপ্রিল ভোরে মারা যান ডা. মঈন। তাকে করোনাযুদ্ধে প্রাণ দেয়া প্রথম বীর চিকিৎসক বলছেন দেশবাসী।
ডা. মাসুদকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে হাসপাতালে ভর্তি
0
Share.