বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ের ধারাবাহিক ডাকাতদের আস্তানা গুড়িয়ে দিচ্ছে পুলিশ ও র্যার। সম্প্রতি টেকনাফ উপজেলা থেকে ৬ কৃষক অপহরণ ও একজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে। স্থানীয়দের মধ্যে এক অজানা আশংকা তৈরী হয়েছে। পুলিশের অভিযানে বুধবার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গীখালীর গাজী পাড়ার পাহাড়ে নিহত হয়েছে তিন ডাকাত। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, ৫টি এক নলা বন্দুক, দুইটি থ্রি কোয়াটার বন্দুক, ১০ টি এলজি, একটি বিদেশী পিস্তল, ১১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ২০৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৭২ রাউন্ড কার্তুজের খােসা ও ৫৬ হাজার ইয়াবা। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়, তিন সেট বিজিবি ও ১০ সেট পুলিশের পােশাক। যা ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। তারা বলছেন, এসব বাহিনীর পােশাক নিয়ে ডাকাত কি করতাে। প্রশাসনের তরফ থেকে বলছেন, বিভিন্ন সময় তারা এসব পােশাক পড়ে সাধারণ মানুষকে হয়তাে ভয়-ভীতি দেখাতাে। বিনিময়ে অর্থ আদায় করতাে। শুধু এবার নয় এর আগেও এবিপিএন ও সেনাবাহিনীর পােশাক উদ্ধার করা হয়। গতকালের অভিযানে প্রশাসনের টনক নড়ে। এসব পােশাক সন্ত্রাসীদের হাতে কিভাবে যায় সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজে বের করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাে. ইকবাল হােসেন গণমাধ্যমে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, টেকনাফে অভিযানে ডাকাতদের কাছে পাওয়া পােশাক নিয়ে অধিকতর তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কিভাবে কোথায় থেকে এসব পােশাক ডাকাতদের কাছে পৌছে দেয়া হয় সে বিষয়ে তদন্ত করবে পুলিশ। তার পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
ডাকাতদের কাছে পুলিশ-বিজিবির পােশাক তদন্তে নামছে পুলিশ
0
Share.