বিনোদন ডেস্ক: বাড়িতে শিশু থাকলে তার জন্য সব সময়ই বাড়তি চিন্তা কাজ করে মা-বাবা বা অভিভাবকের। কারণ শিশুরা নিজের যত্ন নিজে নিতে পারে না। কী করলে সুস্থ থাকা যায়, কী করলে অসুস্থ হওয়ার ভয় থাকে, এসবও তারা বোঝে না। বড়দের সঙ্গে তাদেরও এখন বাড়িতে বন্দি থাকতে হচ্ছে। কিন্তু দুরন্ত শৈশব কেবল বাইরে বের হতে চায়। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতে চায়।এদিকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না বলে পড়াশোনাও করতে হচ্ছে কম। কিন্তু বাড়তি পাওয়া স্বাধীনতাটুকু শিশুরা কাজে লাগাতে পারছে না। তাই তারা আরও বেশি অস্থির হয়ে পড়েছে। তাদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে মা-বাবাও বকা দিচ্ছেন হয়তো। কিন্তু সন্তানকে বোঝানোর এবং সংক্রমণ থেকে দূরে রাখার দায়িত্ব আপনারই। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। এখনকার বেশিরভাগ শিশুর ধৈর্য কম। তারা না চাইতেই সব পেয়ে যায়। তাই যেকোনো জিনিসের জন্য অপেক্ষা করার বিষয়টি তারা মানতে চায় না। এই অবসরকে কাজে লাগিয়ে তাকে অপেক্ষা করতে শেখান। তার সঙ্গে খেলাধুলা করুন।অযথা আতঙ্কিত হবেন না। শিশু সারা বছরই কোনো না কোনো ভাইরাসের আক্রমণে ভোগে। ফলে তাদের ইমিউনিটিও বেশি হয়, দেখবেন তারা তাড়াতাড়ি সেরেও ওঠে। যদি কোনো কারণে তার শরীর খারাপ হয়, তা হলে সাধারণ খাবার দিন। শিশুকে মাছ, মাংস, ডিম, সবজি সবই খেতে দিন। কমলা বা মাল্টার রস দিতে পারেন, খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। বাড়তি ভিটামিন খাওয়ালেই শিশু ভালো থাকবে, তেমনটাও নয়। স্বাভাবিক অ্যাকটিভ জীবন যাপন করুন, তা হলেই হবে।শিশুকে সামাজিক দূরত্ব আর হাত স্যানিটাইজ করার গুরুত্বটা বোঝাতে হবে। স্কুলে যাক বা লকডাউন উঠে যাওয়ার পর কোনো আত্মীয়ের বাড়ি যাক, সামাজিক দূরত্ব মানতেই হবে। বড়রাও শিশুকে দেখেই আদর করতে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন না। কোনো ভাইরাস মানব দেহের কোষে প্রবেশ করতে হলে একটি রিসেপ্টরের গায়ে আটকাতে হয়, শিশুদের কোষের গায়ে এই রিসেপ্টরের সংখ্যা কম। তাই আপাতত শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার তত বেশি নয়। তাছাড়া এই ভাইরাসের আক্রমণ যখন শুরু হয়েছে, তখন বেশিরভাগ স্কুলেই ছুটি চলছিল। তাই এখনও মনে হচ্ছে শিশুরা ব্যাপারটা সামাল দিতে পারবে। তবুও সাবধানতা জরুরি।
করোনা থেকে সন্তানকে দূরে রাখতে যা করবেন
0
Share.