ডেস্ক রিপোর্ট: পোল্যান্ডে রোববার হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তবে নির্বাচনে ভোটার টার্নআউট ছিল ০ শতাংশ! করোনাভাইরাসের কারণে পোলিং স্টেশনগুলো বন্ধ থাকলেও ভোট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি। ফলে এই অদ্ভুতুড়ে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই নির্বাচন হবে নাকি বাতিল হবে, তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে আইনি জটিলতা চলছিল। আইনি ম্যারপ্যাচেই শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বন্ধ করা না হলেও করোনাভাইরাসের কারণে ভোটের বুথ বন্ধ থাকে। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান।খবরে বলা হয়, পোল্যান্ডের শাসক দল ল’ অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (পিএস)-এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চা হ্রাস করার অভিযোগ রয়েছে। এই কভিড-১৯ সংকটের সময়ও তারা নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে। নির্বাচনে পিএস দলের মিত্র প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা অনায়াসে জিতবেন বলে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, এই সংকটের সময় প্রথম দফার নির্বাচনে সহজে জিততে জোরাজুরি করেছে সরকার। বুধবার সন্ধ্যা অবধি সরকার দাবি করে, বুথ বন্ধ থাকলেও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে হলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিরোধীরা ভোট স্থগিত করতে চান, এটি যেমন সত্য। তেমনি এটি সত্য যে, ভোট পেছালে প্রেসিডেন্ট দুদার হারার সম্ভাবনা বেশি। কেননা, কয়দিন বাদেই করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। ফলে সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ থাকবে মানুষ। তবে তাদের যুক্তি ছিল, এই সময় নির্বাচন আয়োজন হলে প্রচার-প্রচারণা চালানো অসম্ভব! বিরোধীদের দাবি ছিল, সরকার যেন জরুরি অবস্থা বা জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নির্বাচন পিছিয়ে যেত। কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। দলটির বক্তব্য ছিল, করোনাভাইরাস সংকট এতটাও গুরুতর নয় যে জরুরি অবস্থা বা জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করতে হবে। পিএস-এর এই অনড় অবস্থান নিয়ে ক্ষমতাসীন জোটের ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়।
পোল্যান্ডে ভুতুড়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ভোটার উপস্থিতির হার ০%
0
Share.