ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন শিথিলে গেছে ইতালি। আর এ শিথিল পদক্ষেপকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে সমালোচনা হচ্ছে। জবাবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে স্বীকার করে বলেছেন, করোনা লকডাউন কমাতে মাপা ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত গোটা দেশ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়।আগামী ৩ জুন থেকে ইতালি থেকে অন্য দেশে বা অন্য দেশ থেকে ইতালি ভ্রমণ কিংবা দেশের অভ্যন্তরে গমনাগমন করা যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী। ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল ও খেলাধুলা কেন্দ্রগুলো ২৫ মে থেকেই খুলছে। আর সিনেমা হল ও থিয়েটার চালু হবে আগামী ১৫ জুন থেকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো থেকে আসা লোকজনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে না। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।দুই মাসের বেশি সময় গোটা ইতালি লকডাউন ছিল। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকায় এখন দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে লকডাউন শিথিলের নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আশা দেখতে শুরু করেছে ইতালির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে পুনরায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে অনেকেই এ লকডাউন শিথিল পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করছেন।গতকাল শনিবার টেলিভিশন বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কোঁতে বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়তে পারে জেনেই আমরা অত্যন্ত মাপজোক করে ঝুঁকি নিচ্ছি। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে, না হলে আমরা আর শুরুই করতে পারব না। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার ক্ষমতা নেই ইতালির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর। এটা করলে আমাদের আর্থিক ও সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। আমরা শেষ হয়ে যাব।’এ পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে ৩১ হাজার ৭৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত দুই লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৮১০ জন।
কড়াকড়ি শিথিলে ‘মাপা ঝুঁকি’ নিচ্ছে ইতালি
0
Share.