ঢাকা অফিস: সুপার সাইক্লোন আম্পান এখন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থান করছে। এটি আরও শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে। আম্পানের কেন্দ্রের ৯০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৫ থেকে ২৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হচ্ছে। সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার শেষরাত ও বুধবার বিকেলে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এতে আরো বলা হয়, সুপার সাইক্লোন আম্পান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭২৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা, চাঁদপুর, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং ওইসব অঞ্চলের দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ওই অঞ্চলের নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার ও তার চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আম্পানের প্রভাবে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে
0
Share.