সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি: রিজভী

0

ঢাকা অফিস: সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শুধু নিজেদের নেতাকর্মী ও শাসকগোষ্ঠীর পকেট ভারী করা, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করা এই সরকারের মূল লক্ষ্য। আর বিএনপি কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করছে বলে দাবি করেছেন রিজভী। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদের সামাজিক সংস্থা জাসাসের উদ্যোগে এ খাদ্য বিতরণের আয়োজন করা হয়। রিজভী বলেন, আজকে যারা পিস্তল দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। অত্যাচার করছে তারা বাংলাদেশ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে পালিয়ে গেছে। একটি ছেলে সরকারের সমালোচনা করে পোস্ট দিলে তাকে রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে আসে। আর এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে আপনার সিকদার গ্রুপের হত্যার হুমকি দেওয়া দুইজন ছেলে কি করে চলে গেল। মেডিকেল ভিসা দিল কি করে। তাদের নামে মামলা হয়েছে। পুলিশ সেখানে কি করলো। পুলিশ কিছুই করেনি। তার মানে শাসকগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত অপরাধীদেরকে নানাভাবে রেহাই দেওয়া হচ্ছে। তাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই দুই ভাই চেয়েছে ব্যাংকের টাকা লুট করতে। এমডিরা রাজি হয়নি তাই তাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলছে দেশে। অরাজকতা চলছে, মার্শাল ল চলছে। এভাবে চলতে পারে না।’ রিজভী বলেন, আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। হয়রানি করা হচ্ছে। কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারপরও আমরা মানুষের দুঃসময় বসে নেই। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। তিনি বলেন, করোনার প্রকোপে সারাদেশে কর্মহীন মানুষদের হাহাকার চলছে। আরেকদিকে সরকারের ত্রাণ লুটপাট চলছে। প্রধানমন্ত্রীর আড়াই হাজার টাকা থেকেও আত্মসাৎ করা হয়েছে। জনগণের সমর্থনহীন সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণের টাকা আত্মসাৎ করছে। জনগণের ত্রাণ আত্মসাৎ করছে। সরকারি হাসপাতালে ২০থেকে ৩০ শতাংশের বেশি রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না। ঢাকার বাহিরে তো চিকিৎসা পাচ্ছে না। এর মধ্যে যদি কেউ করোনা ছাড়া হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয় তারা কোন হাসপাতালে সিট পাচ্ছে না। রিজভী বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে আগে করোনা টেস্ট করুন। করোনা টেস্ট করতে ১২থেকে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে। অনেক জায়গায় চারদিনও লেগে যায়। তাই অনেক রোগী অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। এই ব্যর্থ সরকার মানুষকে বাঁচানোর জন্য কোনো কাজ করেনি। দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাকির হোসেন রোকনের পরিচালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাসাসের সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ চৌধুরী, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, ডাক্তার আরিফ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, ফেরদৌস ফকির, শরিফুল ইসলাম রতন, মালেক সাগর, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মাজহার আলী শিবা শানু, জাসাস নেতা খালেদ এনাম মুন্না, এনামুল হক জুয়েল, হারুন-অর-রশিদ, নবাব মাঝি, ইব্রাহিম খলিলসহ জাসাসের নেতৃবৃন্দ।

Share.