ডেস্ক রিপোর্ট: মহামারী করোনাভাইরাসের তথা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় একটি অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে রোগীদের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। সিএনএন জানিয়েছে, ইলাই লিলি নামের ওই কোম্পানি রোগীদের ওপর একটি অ্যান্টিবডি থেরাপি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে দেখা হবে থেরাপিটি নিরাপদ এবং সহনীয় কিনা। জুনের শেষের দিকে ফলগুলো পাওয়া যেতে পারে। এ পদ্ধতি সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ড্রাগটি বাজারে আসতে পারে। নতুন এই থেরাপি নেওয়া রোগীরা নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রসম্যান স্কুল অফ মেডিসিন, লসঅ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই এবং আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।ইলাই লিলির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ড্যান স্কোভ্রনস্কি সিএনএনকে বলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য নতুন একটি ওষুধ তৈরির কাজ করতে শুরু করেছি মহামারীর শুরুর দিকেই। এখন সেটা রোগীদের ওপর পরীক্ষা করছি।’ মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ইলাই লিলি কানাডাভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাবসেলেরার সঙ্গে যৌথভাবে এই অ্যান্টিবডি থেরাপির উন্নয়ন ঘটায়। কোনো করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে তার দেহ অ্যান্টিবডি নামে কয়েক মিলিয়ন প্রোটিন তৈরি করে আর এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ করতে সহায়তা করে। করোনা থেকে সুস্থ হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রোগীদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে অ্যাবসেলেরা রক্তের নমুনা নিয়েছিল। শত শত অ্যান্টিবডি খুঁজে পেতে এই রোগীর লাখ লাখ কোষ তারা বিশ্লেষণ করে। অ্যাবসেলেরার বিজ্ঞানিরা এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি এবং ইনফেকশাস ডিজিজেজ এর ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টার এরপর বাছাই করেছে কোন অ্যান্টিবডিগুলো সবচেয়ে শক্তিশালী। ইলাই লিলির বিজ্ঞানীরা বের করেছেন এর মাধ্যমে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়। এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে বলা হয় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি। ইলাই লিলির প্রধান বলেছেন, থেরাপিটি করোনার চিকিৎসায় কাজ করবে কিনা সেটা তারা নিশ্চিত করে বলছেন না। তবে গবেষণাগারে এটি কোষগুলোকে সংক্রমিত করার জন্য ভাইরাসের সক্ষমতাকে বাধা দিয়েছে। হিউম্যান ট্রায়াল সফল হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরের ধাপের পরীক্ষা শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপে হাসপাতালে ভর্তি হয়নি এমন ব্যক্তিসহ বেশিসংখ্যক রোগীর ওপর এটি পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু
0
Share.