ডেস্ক রিপোর্ট: বিতর্কিত এবং স্পষ্টবক্তা উলফ প্যালমে ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের মতো থাকতে পছন্দ করতেন। প্রায়ই তিনি বাইরে বেরোনোর সময় পুলিশি নিরাপত্তা নিতে অপছন্দ করতেন না। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার উলফ প্যালমে তার স্ত্রীকে নিয়ে সিনেমা দেখে যখন বাসায় ফিরছিলেন তখন স্টকহোমের রাস্তায় তাকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। তার সঙ্গে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না। তিনি খুন হন সুইডেনের সবচেয়ে ব্যস্ত রাজপথে এবং ১২ জনের মতো মানুষ দেখেছিল এক ব্যক্তি গুলি করে ছুটে পালাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে এই খুনের ঘটনায় জেরা করা হয়। এক ছিঁচকে অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে আবার সেই রায় নাকচ করে দেওয়া হয়। প্রধান কৌঁসুলি ক্রিস্টার পিটারসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘স্টিগ এংগস্ট্রম যেহেতু বেঁচে নেই, তাই তার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ গঠন করতে পারব না। তাই এই তদন্তের এখানেই ইতি টানার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।’ তিনি বলেছেন, এই খুনের তদন্তে প্রথমে স্টিগ এংগস্ট্রমকে সন্দেহ করা হয়নি। কিন্তু যখন তার নাম সন্দেহভাজনদের তালিকায় আসে, তখন তারা জানতে পারেন সে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে দক্ষ, কারণ সে সেনাবাহিনীতে ছিল এবং একটি শুটিং ক্লাবের সদস্য ছিল। শুধু তাই নয়, উলফ প্যালমের বামপন্থি নীতির বিরোধী ছিলেন এংগস্ট্রম এবং তার নিজের এলাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সমালোচক এক গোষ্ঠীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
৩০ বছরের রহস্যের অবসান, সুইডেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীর নাম প্রকাশ
0
Share.