ডেস্ক রিপোর্ট: লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম জানিয়েছেন, ভয়াবহ করোনা মহামারির দু:সময়ে এবং লকডাউনের মধ্যেও লন্ডন মিশন আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সাফল্যের সঙ্গে দু’টি প্রত্যাবসন ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। একইসঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের করোনা মহামারির কারণে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে তারা। এছাড়া ২৪ ঘণ্টা কনস্যুলার হটলাইন ও হাই কমিশনের একটি ‘জরুরি কোভিড হেল্পলাইনের’ মাধ্যমে সম্ভাব্য সব ধরনের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জুলাই মাসে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন, ‘মুজিব শতবর্ষ কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা পক্ষ’ পালন করবে। তিনি জানিয়েছেন, এ সময়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনেই হাই কমিশন থেকে সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা এবং দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে পরামর্শসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সেবা দ্রুততার সঙ্গে দেয়া হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত যথাসময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং হাই কমিশনের ওয়েব সাইট ও ফেইসবুকের মাধ্যমে জানানো হবে। ঢাকাগামী দ্বিতীয় স্পেশাল ফ্লাইটে ১৫৩ জন বাংলাদেশির দেশে ফেরা সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হাই কমিশনারকে উদ্বৃত করে এ তথ্য জানানো হয়। হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) আশিকুন নবী চৌধুরীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তি মতে, বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশিদের ফেরাতে পরিচালিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর বিশেষ ফ্লাইটটি (বিজি ৪১০৬) শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০ টায় লন্ডন হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে।ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ঢাকা পৌঁছানোর কথা। এই বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করায় হাই কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দূতাবাসগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন দু’টি প্রত্যাবসন ফ্লাইটের মাধ্যমে বৃটেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। হাইকমিশনার এজন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানের এই বিশেষ ফ্লাইটটি মূলত ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি যাত্রীদের নিয়ে রোমে এসে সেখান থেকেই ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু, লন্ডন মিশনের বিশেষ অনুরোধে বাংলাদেশ সরকার বিমানটিকে রি-রুট করে লন্ডন হিথ্রো হয়ে বৃটেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের নিয়ে ঢাকা যাওয়ার নির্দেশনা দেয়। এ কাজে সহযোগিতার জন্য ইউকে ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিস, ইউকে হোম অফিস, ইউকে বর্ডার এজেন্সি এবং হিথ্রো এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান সাঈদা মুনা তাসনীম। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১০ই মে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ভাড়া করা একটি বিশেষ বিমানে আটকে পড়া শতাধিক বাংলাদেশি বৃটেন থেকে দেশে ফেরেন।
জুলাইয়ে লন্ডন মিশনে ‘মুজিব শতবর্ষ কনস্যুলার সেবা পক্ষ’পালিত হবে
0
Share.