ডেস্ক রিপোর্ট: কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী আনাস আল সালেহ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, মানবপাচার চক্রের সবচেয়ে বড় হোতাকে আটক করা হয়েছে। নিজের টুইট বার্তায় কারো নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেছেন, মানবপাচারের অভিযোগের তদন্তে সরকারি কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যেই হোক না কেন, কাউকে ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি কুয়েতের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা আল সালেহ বলেন, মানবপাচারকারী ও সন্দেহভাজনদের ধরতে বা বিদ্যমান আইনে পরিবর্তন করতে বহু মন্ত্রীকে বেশ কাঠখড় পোহাতে হয়েছে, যা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে আটকের পর এ বিষয়ে গত কয়েক সপ্তাহের তদন্তের সাফল্যের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিবাদন জানান। ওই তদন্তে গোয়েন্দারা সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন। আরব টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, মানবপাচারের সঙ্গে বাংলাদেশি এই এমপির সংশ্লিষ্টতা গত ফেব্রুয়ারিতে সামনে আসে। তখন তিনি নিজেই বলেছিলেন, তিনি ও তার আরও দুই সহযোগী সবচেয়ে বড় মানবপাচার ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। সূত্রগুলো জানিয়েছে, কুয়েতের তিনটি বড় কোম্পানির সম্মানজনক ও স্পর্শকাতর পদে রয়েছেন এই তিন বাংলাদেশি। তারা সরকারি ক্লিনিং কন্ট্রাক্টে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে কুয়েতে এনেছে। এর বিনিময়ে তারা ৫০ মিলিয়ন কুয়েতি দিনারের বেশি অর্থ নিয়েছে। আরব টাইমস জানায়, ওই তিনজনের মধ্যে একজন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল সম্প্রতি বাংলাদেশে এমপি নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া দেশটির একটি বড় ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের মধ্যে একজন হয়েছেন তিনি।
মানবপাচারের শীর্ষ হোতা আটক হয়েছে: কুয়েতের উপপ্রধানমন্ত্রী
0
Share.