ডেস্ক রিপোর্ট: পূর্ব লাদাখে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্কে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে চীনকে জানিয়েছে প্রতিবেশী ভারত। বুধবার এক ফোনালাপে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এমন বার্তাই দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে দুদেশ উত্তেজনা বাড়াতে কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে তারা একমত হয়েছেন। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে কর্নেল পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাও আছেন। গত পাঁচ দশকের মধ্যে এই সংঘাত ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, তাদের এই ত্যাগ বৃথা যাবে না। পানি জমে বরফ হয়ে যাওয়া গালওয়ান নদীর কাছে ১৫ হাজার ফুট ওপরে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রড ও লোহা গাঁথা লাঠি ব্যবহার করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার ক্ষেত্রে সেখানে বহু আগ থেকেই দুদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা আছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, গত সপ্তাহে দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তাতে নিষ্ক্রিয়করণের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল তারা। কিন্তু চীন তা থেকে সরে এসেছে।ভারতীয় সেনারা আহত হয়ে মারা গেছেন। আর সেখানে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে ছিল। ঘুষাঘুষি, শৈলশিরা ও বরফের নদীর দিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ায় অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে তারা ডুবে মারা গেছেন। মূলত উঁচু স্থান থেকে পানিতে পড়ে যাওয়ায় তারা মাথায় আঘাত পেয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।সূত্র জানায়, সামরিক বিমান লাদাখের রাজধানী লেহতে রাতের বেলায় অবতরণ করেছে, যা বিরল ঘটনা বলা চলে। আহতদের সেনাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু এ নিয়ে একমাত্র সেনাবাহিনী কথা বলার কর্তৃত্ব রাখে।
লাদাখে ভারতীয় সেনারা যেভাবে হতাহত
0
Share.