স্বাস্থ্য ডেস্ক: উচ্চ রক্তচাপের কোনো একক নির্দিষ্ট মাত্রা নেই। বিভিন্ন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একেকজন মানুষের শরীরে রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন এবং একই মানুষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে স্বাভাবিক এ রক্তচাপও বিভিন্ন রকম হতে পারে। উত্তেজনা, দুশ্চিন্তা, অধিক পরিশ্রম ও ব্যায়ামের ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ঘুমের সময় এবং বিশ্রাম নিলে রক্তচাপ কমে যায়। রক্তচাপের এ পরিবর্তন স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়ে।
উচ্চ রক্তচাপ কী?
হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ তাকেই বলে, যখন আপনার রক্তচাপ নিয়মিত ১৩০/১০০ এর বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা না করলে হৃদযন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এমনকি স্ট্রোকও হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খাদ্যভ্যাস স্বাস্থ্যকর রাখতে বলা হয়। উচ্চমাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত খাবার বা তেলে ভাজা খাবার খেতে মানা করা হয়। তবে কিছু কিছু খাবার ও পানীয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজে আসে। এমন একটি খাদ্য উপাদান হলো তুলসী। তুলসীর স্বাস্থ্য উপকারিতা আমাদের অজানা নয়। সর্দি-কাশি কমাতে অহরহই তুলসী খাওয়া হয়। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও তা কাজে আসে।
আসুন জেনে নেই তুলসী চা কীভাবে উচ্চরক্তচাপ কমাবে:
শ্বসনতন্ত্র : তুলসীতে থাকা এসেনশিয়াল অয়েলগুলো আমাদের শ্বসনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ঠাণ্ডা-জ্বরের প্রকোপ কমায়।
ক্যান্সাররোধী: তুলসীর আছে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক (ক্যান্সাররোধী) বৈশিষ্ট্য।
ব্লাড সুগার: শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তুলসী। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস রোগীদের উপকারে আসে।তুলসীতে থাকা ভোলাটাইল অয়েল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, তুলসীতে থাকা ইউজেনল নামের একটি রাসায়নিক আছে যা রক্তনালিকাগুলোকে সংকুচিত করে এমন পদার্থকে বাঁধা দেয়। ফলে রক্তের সরবরাহ হয় সহজেই। স্টাডিজ অব এথনো মেডিসিন জার্নাল অনুযায়ী, নীম ও তুলসী দুটো একসাথে খাওয়া হলে রক্তচাপ কমে আসে।
তুলসী চা তৈরির নিয়ম : এক কাপ পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ৩ মিনিট হালকা আঁচে রাখুন। একটি কাপে ছেঁকে নিন। এভাবেই পান করতে পারেন। অথবা এতে এক চা চামচ মধু ও আধা চা চামচ লেবুর রস যোগ করতে পারেন। ফুটিয়ে নেওয়ার সময়ে এতে দারুচিনি বা আদাও যোগ করতে পারেন।