মার্কিন ভিসায় কড়াকড়ি ট্রাম্প প্রশাসনের

0

ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত কয়েক প্রকারের ভিসা দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন ভিসায় কড়াকড়ি সংক্রান্ত এ ধরনের পদক্ষেপ যে আসতে যাচ্ছে, তা গত শনিবারই একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গতকাল সোমবারই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের শেষ নাগাদ এইচ ১ বি, এইচ ৪, এল ১ ও জে ১ ভিসা বাতিল করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গতকাল বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার গভীর রাতে সাংবাদিকদের জানানো হয়, ট্রাম্প প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে ভিসা স্থগিতের সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে বলবৎ করছেন। এ বছরের শেষ পর্যন্ত আর কোনো ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হবে না। এর ফলে মার্কিনীদের জন্য ৫ লাখ ২৫ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুমিছিল শুরু হওয়ার কারণে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে লকডাউন জারি করতে বাধ্য হয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। যার ফলে গোটা যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে। চাকরি হারিয়েছে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ। আর তখনই দেশের নাগরিকদের চাকরির ব্যবস্থা করতে বেশ কয়েকটি ভিসা নীতিতে কড়াকড়ির ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।আপাতত ট্রাম্পের লক্ষ্য এইচ-১ বি, এইচ ৪, এল-১ এবং জে ১— এ চার ধরনের ভিসা। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এইচ ১ বি-র ক্ষেত্রে লটারির বদলে যোগ্যতার ওপর জোর দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াটা প্রয়োজন। বড় বড় ব্যবসায় এমন কিছু মানুষকে প্রয়োজন হয়, যাঁরা অনেক বছর ধরে এ দেশে আসছেন।’এইচ-১ বি ভিসায় যাঁরা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, নতুন নীতিতে তাঁদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই মনে হয়। মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৯ অর্থবছরে এক লাখ ৩৩ হাজার বিদেশিকে এইচ-১ বি ভিসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের একটি বড় অংশ চীন ও ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। করোনাজনিত মহামারির শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার জন্য যাবতীয় অভিবাসন নীতি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠী। প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে তারা জানিয়েছিল, সব কাজের ভিসা বন্ধ রাখলে মার্কিন অর্থনীতিতে আরো গভীর প্রভাব পড়বে।

Share.