ডেস্ক রিপোর্ট: লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা পেছনোর বিষয়ে ‘পারস্পরিক ঐকমত্যে’ পৌঁছেছে ভারত ও চীন। শুধু তাই নয়, সীমান্তে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের পক্ষ থেকে যেসব দাবি জানানো হয়েছিল চীনা বাহিনী নাকি তা মেনে নিয়েছে।মঙ্গলবার ভারতীয় সেনা সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।লাদাখে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সোমবার পূর্ব লাদাখে চুসুল সেক্টরে দুদেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়।বৈঠকে লেহতে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ ও চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের মেজর জেনারেল লিন লিউয়ের মধ্যে প্রায় ১১ ঘণ্টা আলোচনা হয়।বৈঠকে গলওয়ান উপত্যকার ১৫ জুনের চীনা হামলা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান হরেন্দ্র। পাশাপাশি পিএলএ-র তরফে ৪ জুনের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত মানা হয়নি বলেও তথ্যপ্রমাণ পেশ করেন তিনি।তবে সরকারিভাবে কোনো পক্ষই গতকালকের ওই বৈঠক নিয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি।খবরে বলা হয়, পূর্ব লাদাখের চুসুল লাগোয় মলডো অঞ্চলে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘাতের ক্ষেত্রগুলো থেকে সেনা পেছোনোর বিষয়ে আলোচনায় সম্মতি দিয়েছে চীন।সেনা পেছনোর পাশাপাশি, এলএসি বরাবর স্থায়ী বাঙ্কারসহ বিভিন্ন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার বিষয়টিতেও চীনা ফৌজের কর্মকর্তারা নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছেন বলে ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর।গলওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ এবং ১৫ এর পাশাপাশি গোগরা উপত্যকার হট স্প্রিং এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ এবং প্যাংগং লেকের উত্তরাংশে ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই স্থায়ী ও অস্থায়ী নির্মাণ করেছে চীন।প্রসঙ্গত লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ভারতীয় সেনার। তাতে কর্নেল-মেজরসহ ২০ ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। আহত হন আরও ৭৬ জন সেনা।
ভারতের যেসব দাবি মেনে নিল চীন
0
Share.