আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এই সময়ে করোনা মহামারি নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল চীনের উহান শহর থেকে। ছড়িয়ে পড়া মহামারিতে মাত্র ৬ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ লাখের বেশি মানুষ। তবে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এমন পরিস্থিতিতে এবার চীনে আরেক ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।নতুন এ ভাইরাসও করোনার মতো মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। ভাইরাসটি মানবদেহ থেকে মানবদেহে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি। মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন ভাইরাস মহামারি হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছে দেশটির বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি এই ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে শূকরের শরীরে শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এটি সহজে মানুষকেও আক্রান্ত করতে পারে।গবেষকদের আশঙ্কা, নতুন এই ফ্লু মানুষ থেকে মানুষে সহজে ছড়িয়ে পড়তে রুপ বা আকার পরিবর্তিত হতে পারে। সেইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে নতুন মহামারিতে পরিণত হতে পারে। নতুন এই ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞানীরা আরও জানান, মানুষকে সংক্রমিত করার জন্য এতে সব ধরনের লক্ষণ আছে। এছাড়া ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় মানুষের সুস্থ হওয়ায় সম্ভাবনা খুব কম।তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই নতুন ভাইরাস নিয়ে এখনে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লুর সঙ্গে মিল রয়েছে নতুন এই ভাইরাসের। তবে নতুন কিছু পরিবর্তন হয়েছে।এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের শতাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন এগিয়ে আছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে এবার করোনার ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে চীন। সোমবার (২৯ জুন) এ খবর দিয়েছে ইয়াহু নিউজ। খবরে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের (৬১৮৫.এইচকে) তৈরি একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে।তবে আপাতত ভ্যাকসিন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহার করা হবে। স্যানসিনো বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত ২৫ জুন এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি সৈন্যদের দেহে এক বছরের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। স্যানসিনো বায়োলজিকস এবং একাডেমি অব মিলিটারির একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার স্যানসিনো বায়োলজিকস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি চীনের বাইরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে কানাডায় পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমোদনে দেয়া হয়েছে। তবে চীনের লজিস্টিক সাপোর্ট বিভাগের অনুমোদনের আগে এটি ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে না।খবরে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক কারণে ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করা হবে না। এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যদের এই ভ্যাকসিন নেয়া বাধ্যতামূলক কিনা তাও প্রকাশ করা হয়নি।
চীনে নতুন ‘মহামারি’ ভাইরাস, বিশ্বজুড়ে ছড়ানোর শঙ্কা
0
Share.