ঢাকা অফিস: রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে টেনে-হিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে কয়েকজন ব্যক্তি উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে থাকা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এমন চিত্র। শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা। অধ্যক্ষের অভিযোগ, অন্যায় দাবি না মানায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা এই কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, অন্তত ১০ জন তরুণ অধ্যক্ষকে দ্রুতগতিতে পুকুরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ তাঁর হাত ধরে টানছিলেন, আবার কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। এরপর তাঁকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার কাছে অন্যায় দাবি নিয়ে আসত। তাদের দাবিগুলো মানার মতো না। দাবি না মানার কারণে তাঁরা আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় দুজন ছাত্রের ফরম পূরণ হয়নি। তাঁদের ফরম পূরণ করানোর জন্য শনিবার বাংলাদেশ সময় সকালে কয়েকজন আমার কাছে আসে। আমি তাঁদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে যেতে বললে আমার সামনেই অশালীন মন্তব্য করে তাঁরা। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু কথা বলে তাঁরা রাগান্বিত হয়ে বেরিয়ে যায়। বাংলাদেশ সময় দুপুরে নামাজ পড়ে অফিসে যাওয়ার সময় একজন আমার পথ আটকে পুকুরের দিকে যেতে বলে। আমি যেতে না চাইলে তাঁরা আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এরপর তাঁরা পালিয়ে যায়। রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়িত কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, খবর পেয়ে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল সৌরভসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অধ্যক্ষকে টেনে-হিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দিলো ১০ ‘ছাত্রলীগ’ নেতাকর্মী
0
Share.