পর্তুগালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭৮০ ভাগের প্রায় ১ ভাগ

0

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। প্রতিবছর ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয় মূলত একটি জনসচেতনতা হিসেবে। প্রজনন স্বাস্থ্য তথা পৃথিবীর জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ যোগ্য জনসংখ্যা তৈরি করা।পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা যেখানে ৭৮০ কোটি। ইউরোপের অন্যতম দেশ পর্তুগাল ২০০৯ সাল থেকে খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রতিবছরই জনসংখ্যা কমতির দিকে। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে ২০১৯ সালে।৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্তুগালের মোট জনসংখ্যা ১,০২,৯৫,৯০৯ জন, যা গত বছরের তুলনায় ১৯,২৯২ জন বেশি। শতকরা হিসেবে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ। তবে ২০০৯ সাল থেকে -২.৬২ শতাংশ কম। তবে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করলে ৭৮০ ভাগের প্রায় এক ভাগ।২০১৯ সালে সর্বমোট জনসংখ্যা ৮৬ হাজার ৫৭৯ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ১১ হাজার ৭৯৩ এবং নীট প্রবাসী ৪৪ হাজার ৫০৬ জন। তবে যদি প্রবাসীদেরকে বাদ দেওয়া হয় তাহলে গত বছরের তুলনায় ২৫ হাজার ২১৪ জন কম শতকরা হিসেবে -০.২৫ শতাংশ কম।এখানে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বেশি। ২০১৯ সালের জনসংখ্যা অনুযায়ী ৪৮,৫৯,৯৭৭ জন পুরুষ এবং ৫৪,৩৫,৯৩২ জন মহিলা। আনুপাতিক হারে ৮৯.৪ পুরুষ এর বিপরীতে ১০০ জন মহিলা। অথচ ২০০৯ সালে যা ছিল পুরুষ ৯১.৯ অনুপাত মহিলা ১০০ জন। পুরুষের মৃত্যুর হার বেশি এবং জন্মহার কম হওয়ায় এ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে।দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ (৩৫,৭৫,৩৩৮) নর্থ এরিয়াতে, ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ (২৮,৬৩,২৭২) লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়াতে এবং ২১ দশমিক ৫ শতাংশ (২২,১৭,২৮৫) দেশের মধ্যাঞ্চলে বসবাস করে।মোট গড় আয়ু ৮০.৯৩ বছর তবে কিছু ক্ষেত্রে পুরুষের গড় আয়ু ৭৭.৯৫ বছর এবং মহিলাদের গড় আয়ু ৮৩.৫১ বছর। তবে মোট জনগোষ্ঠীর ২১ শতাংশ ১৫ বছরের কম বয়সী।সার্বিক বিচারে ২০০৯ সাল থেকে পর্তুগালের জনসংখ্যা সামান্য কম-বেশির মধ্য দিয়ে স্থির হয়ে আছে বলা যায়। তাদের এই জনসংখ্যার ঘাটতি পূরণের জন্য ইউরোপের দেশ হওয়া সত্ত্বেও মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর করা হয়েছে।প্রতি বছরই ৫০ থেকে ৭০ হাজার অভিবাসী পর্তুগালের আসেন এবং এর একটা বড় অংশই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তবে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, পর্তুগালে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, জীবনযাত্রার মানের উন্নতি হয়েছে।

Share.