ঢাকা অফিস: আদালতে বিচারকের সামনে কান্না করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার কথিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বিচারকের উদ্দেশে বরখাস্ত হওয়া এই চিকিৎসক বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি জেকেজির চেয়ারম্যান না।’ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমানের আদালতে সাবরিনাকে হাজির করার পর শুনানিকালে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় তেজগাঁও থানায় করা প্রতারণার মামলায় সাবরিনার চারদিনের রিমান্ডে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক শাহিনুর রহমান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে রবিবার দুপুরে আলোচিত এই চিকিৎসককে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছু সময় পরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ২৭তম বিসিএসে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেয়া সাবরিনাকে। সম্প্রতি সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে করোনার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নেয় জেকেজি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। আর প্রধান নির্বাহী ছিলেন তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। যদিও সাবরিনার দাবি তিনি কখনোই এর চেয়ারম্যান ছিলেন না।
এদিকে নমুনা পরীক্ষা ছাড়া করোনার ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগে গত ২২ জুন তার স্বামী আরিফ চৌধুরী ও জেকেজি হেলথকেয়ারের সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার শুনানি চলাকালে ড. সাবরিনাকে কান্না করতে দেখা যায়। আদালতের ভেতরে তিনি অস্থির ছিলেন। তার পক্ষে এক আইনজীবী মৌখিকভাবে জামিন চান। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন। শুনানি চলাকালে বিচারকের উদ্দেশ্য কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডা. সাবরিনা বলেন, ‘জেকেজির চেয়ারম্যান আমাকে বলা হচ্ছে। কিন্তু আমি জেকেজির চেয়ারম্যান না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি নির্দোষ।’জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার সংক্ষেপে জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা পরীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা লুটেছেন। এর আগে ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।