সাহেদকে আশ্রয় দেওয়া কে এই আল ফেরদৌস আলফা

0

ঢাকা অফিস: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা শাকরা কোমরপুরের আল ফেরদৌস ওরফে আলফা’র (৪৯) মাছের ঘেরে আশ্রয় নিয়েছিল বহুরূপী প্রতারক মোহাম্মদ সাহেদ করিম। সাতক্ষীরার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত অন্তত চারদিন আলফার মাছের ঘেরে সুসজ্জিত এসি রুমেই রাতযাপন করেছে ৫৬ মামলার আসামি সাহেদ। মূলত আশ্রয়দাতা আলফাই তাকে নৌকা করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করেছিল।আল ফেরদৌস আলফা সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই অঞ্চলে তিনি একজন কুখ্যাত চোরাকারবারী বলে পরিচিত। কিছুদিন আগেও তিনি চোরাচালান মামলায় জেলে ছিলেন।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত থেকেই র্যা বের একাধিক টিম শাকরা, কোমরপুর গ্রামে অভিযান শুরু করে। সূত্রমতে, এক পর্যায়ে র্যা বের উপস্থিতি টের পায় বহুরূপী প্রতারক সাহেদ। তখন আলফার মাছের ঘেরের সুসজ্জিত এসি রুম ছেড়ে ইছামতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত শাকরা খালের সাথে একটি ড্রেনের মধ্যে বোরকা পরে লুকানোর চেষ্টা করে। আর তাকে অবৈধভাবে ভারতে পার করতে ইছামতি নদীতে অপেক্ষায় থাকে শীর্ষ চোরাকারবারী আল ফেরদৌস আলফার তত্ত্বাবধানে থাকা বাচ্চু মাঝি।সূত্রগুলো জানায়, র্যা ব যখন তার খুব কাছে চলে যায় তখন পিস্তল তাক করে সে গুলি করার চেষ্টাও করে। তবে র্যা বের পেশাদারিত্বের কারণে মুহূর্তেই ধরা পড়ে বহুমুখী, বহুরূপী প্রতারক সাহেদ।তবে তাকে আশ্রয় দেওয়া চোরাকারবারী আল ফেরদৌস আলফা পালিয়ে আছে। পালিয়ে গেছে নৌকার মাঝি বাচ্চুও।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যা বের মুখপাত্র, গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আল ফেরদৌস আলফার আশ্রয়ে তার আত্মগোপনের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছিলাম। সেই র্যা বের নজরদারির মধ্যেই ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আরও তদন্ত করব।’

Share.