বাংলাদেশ থেকে গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: সরকারী বে সরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা ব্যাক্তিরা স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের ফলে সারাদেশের ন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার পাশাপাশি স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রায় হাফ ডজন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা এসব প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে আর দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এসব নেতার মধ্যে রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুলার রহমান চৌধুরী তোতা তিনি পলাশবাড়ী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ্যের পাশাপাশি মহদীপুর হাইস্কুলের সভাপতি। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আজাদুল ইসলাম তিনি ঢোলভাঙা হাইস্কুল এন্ড কলেজের লাইব্রেরিয়ান,পাশাপাশি তিনি জালাগাড়ী দুর্গাপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হরিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক তিনি হরিনাবাড়ী কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি হরিনাবাড়ী হাইস্কুলের সভাপতি ছিলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি ময়মন্তপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক নির্মল কুমার মিত্র,তিনি সাবদিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাশাপাশি বাসুদেবপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি। সচেতন মহল দাবি করে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে শুধু হাফ ডজন নয় পলাশবাড়ী উপজেলার প্রায় ৪৩ টি স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কিংবা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অনেকেই।তাদের খুজে বের করে মহামান্য হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন করা জরুরি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাইবান্ধা ০৩ (পলাশবাড়ী-সাদ্ল্লুাপুর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি বলেন, আইন সবার জন্য সমান। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে শুধু আওয়ামীলীগ নেতাই নয়, সে যেই হোক না কেন! এসব প্রতিষ্ঠানে আর তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় সভাপতি হিসেবে থাকতে পারবেনা পলাশবাড়ী আওয়ামীলীগের হাফডজন নেতা!
0
Share.