ডেস্ক রিপোর্ট: মেধাবী উদ্যোক্তা, পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরিস ডেভন হ্যাসপিলকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ। স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার চার্জ গঠন করা হয়। ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএনের খবর অনুযায়ী, রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী ২১ বছর বয়সী টাইরিস ডেভনের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডার চার্জ (ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই ম্যানহাটনে নিজের অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম সালেহ (৩৩)। মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকালে শহরের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ’র খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাটে ফাহিম একাই থাকতেন। দীর্ঘ সময় খোঁজ না পেয়ে মঙ্গলবার জরুরি ৯১১ নম্বরে ফোন করেন তার বোন। এরপর পুলিশ এসে অ্যাপার্টমেন্টের সপ্তম তলা থেকে ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করে। কোনও পেশাদার কেউ এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানায় পুলিশ। লিফটের মধ্যে থাকা সিকিউরিটি ক্যামেরায় দেখা গেছে, অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে ফাহিমের সঙ্গেই প্রবেশ করেছিল সম্পূর্ণ কালো পোশাক পরিহিত হত্যাকারী। পুলিশ যাকে তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। লিফটে সে ফাহিমের সঙ্গে কিছু কথাবার্তাও বলেছিল। লিফট থেকে বের হওয়ার পর ফাহিমের পেছনে আসা হত্যাকারী তার হাত উঁচু করে। এরপরই ফাহিম মেঝেতে পড়ে যান। পুলিশের ধারণা, হত্যাকারী ট্যাজার গান দিয়ে বৈদ্যুতিক শক ছুড়ে মারায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন ফাহিম। লিফটের দরজা এরপর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এরপরের ঘটনাগুলোর ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। পরে তাকে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অনুমান পুলিশের। নিউ ইয়র্ক সিটির ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, গলা ও কাঁধে একাধিক ছুরিকাঘাতে নিহত হন ফাহিম। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বাংলাদেশি বাবা-মায়ের সংসারে জন্ম নেন ফাহিম সালেহ। জন্মের পরে পরিবারের সাথে নিউইয়র্কে চলে যান তিনি। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা। পড়াশোনা শেষে ফাহিম সালেহ নিউইয়র্কেই বসবাস করতেন। ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে প্রযুক্তি-ভিত্তিক বেশ কিছু ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ফাহিম সালেহ। শুরুতে শুধুমাত্র পণ্য পরিবহন সার্ভিস নিয়ে কাজ করলেও পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং সেবা চালু করে পাঠাও। বাংলাদেশে পাঠাও প্রতিষ্ঠায় ফাহিম সালেহ’র সাথে আরও দুজন ছিলেন। জিএ
ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
0
Share.