৫৪০০ কোটি টাকার মামলা হারল বিসিসিআই

0

ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা আবহে আইপিএল সংকটের মধ্যে বিসিসিআই-কে ৪,৮০০ হাজার কোটি দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সালিশী৷কোভিড-১৯ অতিমহামারীর মধ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান লক্ষ্য হল আইপিএলের ত্রয়োদশ সংস্করণের আয়োজন নিয়ে উঠে পরে লেগেছে৷ কিন্তু এর মধ্যে বোর্ডের সামনে আর্থিক সংকট৷ আইপিএলের হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক প্রাক্তন ফ্র্যাঞ্চাইজি ডেকান চার্জার্সকে (ডিসি) ‘অবৈধ অবসান’ সংক্রান্ত মামলায় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বিসিসিআইকে৷ প্রথম আইপিএল মৌসুম শুরুর সময় প্রাথমিক আট দলগুলোর মধ্যে একটি ছিল ডেকান চার্জার্স৷ কিন্তু বেআইনিভাবে ২০১২ সালে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বরখাস্ত করার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে দিতে হবে চার হাজার ৮০০ কোটি রুপি বা প্রায় ৫৪০০ কোটি টাকা। আদালত কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সালিশী ডেকান চার্জার্সের পূর্ববর্তী মালিক ডেকান ক্রোনিকাল হোল্ডিংস (ডিসিএইচএল) এর পক্ষে এই অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ ২০১২ সালে হায়দরাবাদ-ভিত্তিক মিডিয়া গ্রুপ ভারতীয় বোর্ড কর্তৃক আইপিএল দলের ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘অবৈধ অবসান’-কে চ্যালেঞ্জ করেছিল। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, বিসিসিআই লিগের পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা শেষে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করে৷এক্ষেত্রে দলের তৎকালীন মালিক ডিসিএইচএল বিসিসিআই-এক বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। কিন্তু বোর্ড হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য একটি নতুন দরপত্র চালু করেছিল৷ ফলে এই ফ্র্যাঞ্জাইজির মালিকানা কিনে নেয় সান টিভি নেটওয়ার্ক৷ যা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্জাইজি নামে আইপিএলে আত্মপ্রকাশ করে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিকে ঠাকুরকে দু’পক্ষের মধ্যে একমাত্র সালিশ হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন৷ এদিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই বোর্ডের বিরুদ্ধে সালিশি জিতে নেয় ডিসিএইচএল৷ ডেকান চার্জার্স ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইপিএলের অংশগ্রহণ করেছিল। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অর্থাৎ আইপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদ ভিত্তিক এই ফ্র্যাঞ্চাইজি৷

Share.