সরকারের উন্নয়নের নমুনা রাজধানীর জলাবদ্ধতা: রিজভী

0

ঢাকা অফিস: দুদিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর জলাবদ্ধতাই সরকারের উন্নয়নের নমুনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেন, আজকে উন্নয়নের নমুনা দেখুন। তারা ফ্লাইওভার দেখিয়েছে। উন্নয়নের নানা মডেল, নানা কল্পকাহিনী শুনে শুনে আমরা একেবারে অস্থির হয়ে গেছি। কোথায় উন্নয়ন? দুদিনের বৃষ্টিতে ঢাকায় কোথাও চলাচল করা যায় না।মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সদ্য প্রয়াত আব্দুল আউয়াল খান স্মরণে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন রিজভী বলেন, “কোথায় সেই উন্নয়ন? উন্নয়ন ফ্লাইওভারে, উন্নয়ন মেগা প্রজেক্টে। কারণ ওখান থেকে যা টাকা পকেটের মধ্যে আসে, অন্যখান থেকে সেভাবে টাকা আসে না।”তিনি বলেন, “হাসপাতালের বানালে ভেন্টিলেটর থাকলে, অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলে সেসব সরঞ্জাম আমদানি করতে গেলে মন্ত্রীর লোকেরাই থাকবে। আমরা শুনেছি স্বাস্থ্যখাতের সরঞ্জামাদি আমদানিতে মন্ত্রীর ছেলে জড়িত, আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট জড়িত।“তারপরেও এসব আমদানি করে একটা ভালো হাসপাতাল নির্মাণ করা, একটা ভালো স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা- এখানে কোনো ভূমিকা এই সরকার রাখেনি। কারণ এখানে তো বেশি টাকা পকেটে রাখা যাবে না। একটা উন্নতমানের হাসপাতাল গরীব মানুষকে চিকিতসা দেয়ার জন্য করলে সেখানে সব ফ্যাসিলিটি থাকবে- এই ধরনের কোনো হাসপাতাল আপনি দেখবেন না।”রিজভী বলেন, “উপজেলা-জেলা লেভেলের হাসপাতাল যেন নরকের পরিণত হয়েছে। গরীব রোগীরা বারান্দায় একেবারে হাঁসের মতো দিনের পর দিন পড়ে থাকছেন। ওইসব হাসপাতালের ডাক্তার দুই-তিন দিন পর আসে। হয়ত তার পাশের আরেক জেলায় বাড়ি। আর আজকের দিনের মতো এরকম বৃষ্টি হলে তো ডাক্তাররা আসেই না। “যেসব প্রতিষ্ঠান মানুষকে সেবা দেবে, উপকার করবে, সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। আর যতটুকু তারা করেছে সম্পূর্ণ আত্মাসাৎ করার মনমানসিকতা থেকে।”সত্য কথা বললে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “কেন গ্রেপ্তার? অর্থাৎ অন্যায় করছেন অন্যায়ের জন্য ভয়, অনাচার করছেন অনাচারের জন্য ভয়, দুর্নীতি করছেন দুর্নীতির জন্য ভয়। দুই-একটা সাহেদকে (রিজন্ট হাসপাতালের কর্ণধার) ধরে দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা। বিশাল দুর্নীতির যে স্বর্গরাজ্য সেই স্বর্গরাজ্য আড়াল করার চেষ্টা করছে। কত যে সাহেদ, কত সাবরিনা এই সমাজের মধ্যে আপনাদের দৌরাত্মে, আপনাদের কারণে তৈরি হচ্ছে যা অজানাই থেকে যাচ্ছে।”

Share.