ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের করিমগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত হওয়া তিন বাংলাদেশির মধ্যে দু’জনের পরিচয় মিলেছে। তাদের বাড়ি মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলায়। নিহত দুজন হলেন- উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে মো. নুনু মিয়া (২৮) এবং একই গ্রামের আব্দুল মানিকের ছেলে জুয়েল আহমদ (২৭)। তারা দু’জনই সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। দুজনেই পেশায় অটোরিকশাচালক। বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি তালিমপুর ইউপির কাঞ্চনপুর এলাকায়। তিনি তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে তারা দু’জন গত শুক্রবার জুড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে জুড়ী থানা পুলিশ তাকে জানায় যে তারা ভারতে নিহত হয়েছেন। পরে তিনি নিহতদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন যে তাদের বাড়ি তালিমপুর ইউনিয়নে। নিহত জুয়েল মিয়ার বড় ভাই রুবেল মিয়া বলেন, গত শুক্রবার এক ব্যক্তি তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকালে তারা জানতে পেরেছেন যে তারা ভারতে গিয়ে মারা গেছেন। তবে তারা কেন আর কী কারণে ভারতে গেলেন সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। আসামের স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সেখানকার সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, নিহত বাংলাদেশিরা গত শনিবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে করিমগঞ্জের পাথরকান্দি অঞ্চলে বগরিজান চা বাগান এলাকায় প্রবেশ করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন গরুচোর সন্দেহে তাদের ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহত ওই তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গাজী শহীদুল্লাহ জানান, ভারতে নিহত হওয়া দুই বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে। তাদের বাড়ি বড়লেখায় বলে নিহত পরিবারের সূত্রে জানতে পেরেছি। নিহত হওয়া অপরজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বড়লেখার থানা ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, আসামে নিহত দুই জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে তারা কেন কিভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তা জানা যায়নি।
ভারতে গণপিটুনিতে নিহত ৩ বাংলাদেশি, দুইজন মৌলভীবাজারের
0
Share.