বিনোদন ডেস্ক: নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশার করা মামলার অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে হিরো আলম দাবি করেছেন, তাঁর মানসম্মান নষ্ট করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। হিরো আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। নয়ন মণ্ডল আমার কাছে কোনো ধরনের টাকা পাবে না। আমার মানসম্মান নষ্ট করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় জায়েদ খানের হাত রয়েছে।’আজ শুক্রবার বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম এসব কথা বলেন।হিরো আলম বলেন, ‘এ মামলার পিছনে বাংলাদেশ চলচিত্র শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খানের ইন্ধন রয়েছে। তাঁর সঙ্গে শত্রুতার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্য মামলা করা হয়েছে।’‘মামলায় বলা হয়েছে, আমার কাছে এক বছর আগে ১৫ হাজার টাকা পাবে, মামলা করা হয়েছে এক বছর পর। বাদী এক বছরেও সেই টাকা কেন চায়নি? এতেই বুঝা যায় মামলাটি পরিকল্পিত। আমি আইনগতভাবে মোকাবিলা করবো ও মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে আমি মানহানির মামলা দায়ের করবো’, যোগ করেন হিরো আলম।তবে হিরো আলমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ চলচিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ খান। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হিরো আলমকে নিয়ে আমার চিন্তা করার সময় নেই। সে আমাদের সমিতির কোনো সদস্য নয়। তাঁকে নিয়ে মামলা হয়েছে; যা আমি সকালে একটি অনলাইন পোর্টালে দেখেছি।’জায়েদ খান আরো বলেন, তিনি এসবের কিছু জানেন না। হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করোনোর প্রশ্নই আসে না বলে জানান তিনি।এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জুনিয়র মিশা। মামলার পরে বিচারক তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী মকিম মণ্ডল রাতে বলেন, ‘হিরো আলমের বিরুদ্ধে নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা একটি মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি শুনানি শেষে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’নয়ন মণ্ডল ওরফে জুনিয়র মিশা বলেন, “আমি হিরো আলমের সঙ্গে ‘সাহসী হিরো আলম’ ছবিতে দ্বিতীয় খলনায়ক হিসেবে অভিনয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকায় চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী, গাজীপুরের মনপুরা শুটিং স্পটে অভিনয় করতে যাই। সেখানে কিছুদিন অভিনয় করি। এর মধ্যে ঢাকায় আসার সময় হিরো আলম আমার হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, বাকি টাকা পরে দেব। আমি বাসায় এসে কিছুদিন পর তার মোবাইলে ফোন দেই। তিনি ফোনে আমাকে বলেন, কিসের টাকা পাবি তুই। তুই কোনো টাকা পাবি না।”নয়ন মণ্ডল আরো বলেন, ‘এরপর হিরো আলম আমার ফোন ধরত না। গাজীপুরে ছবির শুটিংস্থলে টাকা চাইলে হিরো আলম আমাকে শুটিংয়ের দা দিয়ে আঘাত করে, কিল-ঘুষি মারে। আমি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর ১৯ জুন এফডিসিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাই। হিরো আলম আমাকে সেখানে মারধর করেন। হিরো আলমের লোকজনের ভয়ে আমি জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি। তাই আমি আদালতে মামলাটি করি।’
আমার বিরুদ্ধে মামলায় জায়েদ খানের হাত রয়েছে : হিরো আলম
0
Share.