করোনা টেস্টের জন্য নারীর বিশেষ অঙ্গ থেকে ‘নমুনা সংগ্রহ’, ল্যাব টেকনিশিয়ান গ্রেপ্তার

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের মহারাষ্ট্রে এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের কুকীর্তি সামনে আসার পর সমালোচনার ঝড় বইছে রাজ্যজুড়ে। কী করেছে ওই টেকনিশিয়ান? নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে আসা এক নারীর গোপনাঙ্গ থেকে নমুনা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর কোভিড ট্রমা সেন্টার ল্যাবে। ওই ল্যাবের টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা ওই নারী। জানা গেছে, অভিযোগকারী নারী অমরাবতীর এক শপিংমলে কাজ করেন। গত ২৪ জুলাই তাঁর এক সহকর্মীর কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর ওই শপিংমলের  ২৫ কর্মচারী অমরাবতীর ওই ল্যাবে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করাতে দেন। ওই ২৫ জনের মধ্যে অভিযোগকারী নারীও ছিলেন। স্থানীয় বাদনেরা থানার উপপরিদর্শক গণমাধ্যমকে জানান, গত মঙ্গলবার অমরাবতীর ওই শপিংমলের ২৫ জন স্টাফের নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর ওই নারীকে আলাদা করে ডেকে কোভিড-১৯ টেস্টের অছিলায় তাঁর গোপনাঙ্গ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ল্যাব টেকনিশিয়ান। ভুক্তভোগী নারীর দাবি, ওই ল্যাব টেকনিশিয়ান তাঁকে বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য তাঁর যৌনাঙ্গ থেকে নমুনা নিতে হবে, তাতেই নাকি পরীক্ষার ফল নির্ভুল আসবে। বাড়ি ফিরে ভাইয়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ওই নারী। ভুক্তভোগী নারীর ভাই চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য এমন কোনো পরীক্ষা নেই। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পরিবার। থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গত মঙ্গলবার রাতেই ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ছাড়াও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনা সামনে আসতেই মহারাষ্ট্রের নারীকল্যাণমন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর নড়চড়ে বসেছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।অমরাবতী থেকেই ভারত প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি (প্রতিভা পাতিল) পেয়েছিল। সেখানেই এমন ঘটনা মাথা হেট করে দিয়েছে বলেই মনে করেন যশোমতী ঠাকুর।

Share.