ডেস্ক রিপোর্ট: ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া। তুরস্কের অন্যতম স্থাপত্য নির্দশন। দীর্ঘ ৮৬ বছর পর আদায় করা হয় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ। আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে চালু হওয়ায় এবার ঈদুল আজহা আরো উৎসব মুখর হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। শনিবার( ১ আগস্ট) ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির স্থানীয় কর্মীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে এরদোগান বলেন, আয়া সোফিয়া পুনরায় মসজিদ হিসেবে চালু হওয়ায় আমাদের জাতির ৮৬ বছরের কষ্ট দূর করে এবারের ঈদে বাড়তি আনন্দ নিয়ে এসেছে।তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি জন্মলগ্ন থেকে কখনও অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের গির্জা, কখনও ক্যাথলিক গির্জা, কখনও মসজিদ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। দেড় হাজার বছর আগে ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে এটি নির্মাণ করা হয়। যা ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত ৯১৬ বছর গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৪৫৩ সালের শুরুর দিকে সুলতান মোহাম্মাদ ফাতিহ ইস্তাম্বুল বিজয় করেন। তারপর আয়া সোফিয়ার এ স্থাপনাটি কিনে নেন এবং তা মসজিদ হিসেবে ওয়াকফ করে দেন। তারপর থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৮১ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল (আতাতুর্ক) পাশা এ মসজিদকে বিলুপ্তি ঘোষণা করে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করেন।তারপর থেকে বিভিন্ন সময় এটিকে মসজিদে রূপান্তরের দাবি উঠলেও তা বাস্তবায়নে কেউ এগিয়ে আসেনি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোয়ান ক্ষমতায় আসার পর এ দাবি জোরালো হয়। তিনি এটিকে মসজিদে রূপান্তরের বিষয়ে জনগণের দাবির বিষয়টি আদালতের উপর ন্যস্ত করেন।দীর্ঘ ৮৬ বছর পর গত ১০ জুলাই তুরস্কের সুপ্রিম কোট ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে আবার তা মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দেয়। পরে ২৪ জুলাই জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে ফের সেখানে নামাজ শুরু হয়।গত ২৪ জুলাই জুমআর মাধ্যমে আয়া সোফিয়া নামাজ শুরু হলেও ৩১ জুলাই মোতাবেক দ্বিতীয় জুমআর দিন ৮৬ বছর পর ঐতিহাসিক এ স্থাপনা পড়া হলো পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ।
‘আয়া সোফিয়া মসজিদ ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে’- এরদোয়ান
0
Share.