ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ কামাল বেঁচে থাকলে সমাজকে অনেক কিছুই দিতে পারতো। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ক্ষেত্রে কামালের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। আজ বুধবার শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এই আলোচনা সভায় যুক্ত হন। এ সময় শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে একটি প্রকাশনারও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ও শেখ কামালের বড় বোন শেখ হাসিনা স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ কামালের মতো একজন মেধাবী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বেঁচে থাকলে সমাজ ও দেশকে অনেক কিছুই দিতে পারতো। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে শেখ কামাল কিছুই করেনি বরং নিজের বিয়ের পরে তাকে ৩২ নম্বরের বাড়ির তৃতীয় তলায় স্ত্রীসহ থাকার জায়গা করে দিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সন্তানই বাবার হাত ধরে স্কুলে গেলেও আমাদের সেই সুযোগ হয়নি। বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করায়, পরিবারের বড় ছেলে শেখ কামালকে শৈশব থেকেই ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মায়ের সাথে পরিবারের অনেক দায়িত্বও পালন করতে হয়েছে। পঁচাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন একজন ব্যক্তি মারা গেলেও মানুষ আমার কাছে বিচার চায়। কিন্তু পঁচাত্তরে জাতির পিতাসহ তার পরিবারের তিন মুক্তিযোদ্ধা ও আর্মি অফিসার দুই ভাই হত্যার বিচার পাইনি।এ আয়োজনের শুরুতে তিনি শেখ কামালের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। কামাল আজ আমাদের মাঝে নেই। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাবা, মা, ভাই, আত্মীয়-পরিজনসহ সে ঘাতকের নির্মম আঘাতে সে শাহাদাত বরণ করেছে। এই আগস্ট শোকের মাস। এই মাসেই তার জন্মদিন।’ছোট ভাই সম্পর্কে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কামাল আমার থেকে দুই বছরের ছোট। তার মেধা বহুমুখী ছিল। একদিকে যেমন ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতি জগতেও তার প্রতিভা ছিল। সে অভিনয় করতো, গান গাইতো, সেতার বাজাতো। খেলাধুলায় তার সবচেয়ে বড় আবদান। ধানমন্ডিতে কোনও খেলাধুলার ব্যবস্থা ছিল না। এক্ষেত্রে সে-ই উদ্যোগ নেয়।’
শেখ কামাল বেঁচে থাকলে সমাজকে অনেক কিছুই দিতে পারতো: প্রধানমন্ত্রী
0
Share.