ডেস্ক রিপোর্ট: মালয়েশিয়ায় গেলো দুই বছরে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেছে দুইটি চক্র। চক্র দুটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে আটকের পর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ইমিগ্রেশনের ডিজি খাইরুল জাইমি। তিনি বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে পর্যবেক্ষণের পর তাদেরকে আটক করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জনের ভুয়া কাগজ চক্রটি তৈরি করতো বলে জানানো হয়। হোয়াটসঅ্যাপে ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্য পাঠিয়ে দিলে তৈরি করে দেয়া হতো ভুয়া কাগজ যা পরবর্তীতে কুরিয়ারের মাধ্যমে বিভিন্নস্থানে পাঠিয়ে দেয়া হতো। মূলত জাতিসংঘ কর্তৃক সরবরাহকৃত শরণার্থী কার্ড পাওয়ার আগ পর্যন্ত তারা এই কাগজপত্র ব্যবহার করতো যাতে মালয় পুলিশের হাতে আটক হতে না হয়। মিয়ানমার থেকে আসা ইথনিক ও আরাকান মুসলিমরাই এই চক্রের টার্গেট। মঙ্গলবার দুপুরে চালানো এ অভিযানে ১৫ জন মিয়ানমার ও একজন মালয়েশিয়ানকে আটক করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। শুধু জাল শরণার্থী কার্ড নয়, চক্রটি বিভিন্ন ধরনের ভুয়া ভিসা স্টিকার, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন ধরনের জাল কাগজপত্র তৈরি করতো। উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে থাইল্যান্ডের জঙ্গল কিংবা ইন্দোনেশিয়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিবছর মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। মালয়েশিয়ায় আসলে খুব সহজেই কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেলে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড যা দিয়ে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে থাকার সুযোগ পায় রোহিঙ্গারা। মূলত এসব কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসে তারা।
মালয়েশিয়ায় জাল কাগজ ব্যবহার করছে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা
0
Share.