স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের শুরুতেই আত্মঘাতী গোল দিয়ে যে নাটকীয়তার শুরু, তা চলল শেষ পর্যন্ত। দুই বহিষ্কার, দুই আত্মঘাতী গোলের ম্যাচে একসময় ৪-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল চেলসি। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নয় জনের আয়াক্সের বিপক্ষে ড্রয়ের স্বস্তিতে মাঠ ছেড়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ৪-৪ সমতায়। গত রাউন্ডে আয়াক্সের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল চেলসি। ম্যাচ শুরু হতেই আত্মঘাতী গোল করে বসেন ট্যামি আব্রাহাম। এগিয়ে যায় আয়াক্স। দুই মিনিট পরেই জর্জিনিয়ো ভিনালডামের সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে চেলসি। ২০তম মিনিটে কাছ থেকে হেডে আয়াক্সকে আবারও এগিয়ে দেন ডাচ ফরোয়ার্ড কুইনসি প্রোমেস। ১৫ মিনিট পর গোলরক্ষকের ভুলে তৃতীয় গোল খেয়ে বসে চেলসি। মরক্কোর মিডফিল্ডার হাকিমের ক্রসে আপাত কোনো হুমকি ছিল না, কিন্তু বলের লাইন মিস করেন কেপা আরিসাবালাগা। বল ক্রসবারে লেগে তার মুখে লেগে জালে জড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে ডাচ মিডফিল্ডার ডনি ফন ডি বিক স্কোরলাইন ৪-১ করলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে চেলসি। তবে রোমাঞ্চের তখনও ছিল ঢের বাকি। আট মিনিট পর ব্যবধান কমান সেসার আসপিলিকুয়েতা। এরপরই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় গতবারের সেমি-ফাইনালিস্টরা। দুই মিনিটে দুজনকে হারিয়ে ৯ জনের দলে পরিণত হয় তারা। ৬৯তম মিনিটে আব্রাহামকে ডি-বক্সের বাইরে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ডালে ব্লিন্ড। আর ডি-বক্সে হ্যান্ডবল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ইয়োয়েল ফেল্টমান। ফেল্টমানের বহিষ্কারের পাশাপাশি পেনাল্টিও হজম করে আয়াক্স। সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৪-৩ করেন মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো। দুই ডিফেন্ডারকে হারিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণ দুর্বল হয়ে পড়ার সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগায় চেলসি। ৭৪তম মিনিটে উইলিয়ানের কর্নারে জুমার হেড ক্রসবারে বাধা পেলে আলগা বল জোরালো শটে ঠিকানায় পাঠান বদলি নামা তরুণ ডিফেন্ডার রিস জেমস। স্কোরলাইন ৪-৪। গ্রুপের আরেক ম্যাচে লিলকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ভালেন্সিয়া। সমান ৭ করে পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে প্রথম তিন স্থানে আছে আয়াক্স, চেলসি ও ভালেন্সিয়া। লিলের পয়েন্ট ১।
চেলসি-আয়াক্স ম্যাচে ৮ গোলের অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চ
0
Share.