দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আজাদ

0

ঢাকা অফিস: তলবি নোটিশের ‘জবাব’ দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদত্যাগী মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনাকালে মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় দুর্নীতির অনুসন্ধানের জন্য তাকে তলব করেছিল দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। নোটিশের জবাব দিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে দুদকে হাজির হন আবুল কালাম আজাদ। দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান। সরকারি মেডিকেল ও কলেজ হাসপাতালের জন্য পিপিই, মাস্ক ও মেডিকেল সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতির অনিয়ম তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম অনুসন্ধানে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্লাহর স্বাক্ষরে আজাদকে দুদকে হাজির হতে নোটিশ পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনেকের নামই আলোচিত হচ্ছে। দুদক থেকে একাধিক টিম এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে।মীর মো, জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার সামগ্রী, নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে একে অন্যের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়। অতীব জরুরি এই পত্রে আজাদকে ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। পত্রে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে। অপরদিকে দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে। এই পত্রে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করার অভিযোগ রয়েছে। সাহেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (জনাব আবুল কালাম আজাদ) তলব করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবুল কালাম আজাদ।

Share.