ঢাকা অফিস: আমি কোনো দুর্নীতি করিনি, আমি সৎ, দক্ষ ও সজ্জন হিসেবে কাজ করেছি। বুধবার (১২ আগস্ট) দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে এমন কথা বলেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি যেই করুক আমি তার শাস্তি চাই, দুদককে আমি সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমার সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাই আমি পদত্যাগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি আবুল কালাম আজাদ। এর আগে সকাল ১০টায় কোভিড সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ আমিনুল হাসানসহ আরেও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। দুদক জানিয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরস্পর যোগসাজশে ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে’ কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য ‘নিম্নমানের’ মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনে বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে কমিশনের হাতে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন দুদক কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের এ অনুসন্ধান টিম গঠন করে কমিশন।অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) এক উপ-পরিচালকসহ তিন কর্মকর্তাকে গত ২০ জুলাই দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।এরপর গত ৬ অগাস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে তলব করে চিঠি পাঠায় দুদক।এছাড়া করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) আবারও কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একের পর এক কেলেঙ্কারিতে সমালোচনার মুখে গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র দেন ডা. আজাদ। শুরুটা হয়েছিল চিকিৎসকদের নিম্ন মানের মাস্ক সরবরাহ দিয়ে। এরপর রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ারের জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার পর তোপের মুখে পড়েন তিনি।
আমি সৎ, দক্ষ ও সজ্জন: বললেন সাবেক স্বাস্থ্য ডিজি
0
Share.