ডেস্ক রিপোর্ট: গোপন আলোচনার পর হঠাৎ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপকে জেরুজালেম, আল-আকসা ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিন। খবর বিবিসির।ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আরব আমিরাতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটি জেরুসালেম, আল-আকসা এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’একজন উর্ধ্বতন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হানান আশরাউই এই সমঝোতার নিন্দা করে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব গোপন লেনদেন আর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছিল, সেটা এবার প্রকাশ হয়ে গেল। তিনি আবুধাবির প্রিন্স মোহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিজের বন্ধুর দ্বারা কেউ যেন এভাবে বিক্রি হয়ে না যান’।সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিলিস্তিনি দূতকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস বলেছে, এটি ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরিকাঘাত।ইরান খুব কঠোর ভাষায় এই সমঝোতার নিন্দা করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তকে ’বিপজ্জনক’ এবং ‘বোকামি’ বলে বর্ণনা করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত কখনোই ক্ষমা পাবেনা।খুবই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তুরস্কও। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ হজম করা যায় না।তবে ইসরায়েলের মিত্র মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। ইসরায়েলের আরেক মিত্র জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, এই চুক্তির পর থমকে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরু হতে পারে।
এই চুক্তি জেরুজালেম, আল-আকসার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা: ফিলিস্তিন
0
Share.