ঢাকা অফিস: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ৪ মাস ২২ দিন বন্ধ থাকার পর আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে রেলের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভিন্ন গন্তব্যে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ ছাড়া চলতি মাসের মধ্যেই পর্যায়ক্রমেই সব ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগে থেকে ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। আজ যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়া। রেলওয়ে জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে আজ রবিবার থেকে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর এবং এক জোড়া কমিউটার ট্রেন নতুন করে চলাচল শুরু হয়েছে।নতুন চালু হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালু হয়েছে।রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেন সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সুসম্পন্ন বন্ধ থাকবে।
চালু হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন
0
Share.