সাত বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। পরিবার মেনে না নেয়ায় গোপনে বন্ধুদের সাহায্যে হয়েছিল বিয়ের সমস্ত আয়োজন। আর সেই দম্পতির বিয়ের বয়স এখন ৭৯ বছর। সবচেয়ে বেশি বয়সি দম্পতি হিসেবে ইতিমধ্যে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন গিনেজ বুক অফ ওয়াল্ডে।
বলছি ইকুয়েডরের জুলিও সিজার মোরা এবং ওয়ালদ্বামিনা কুইনটেরোসের কথা। যাদের দুজনের বয়স একত্রে ২১৪ বছর ৩৫৮ দিন। প্রায় ২১৫ বছর। মোরার বয়স ১১০ বছর আর কুইনটেরোসের ১০৫ বছর হবে সামনের অক্টোবরে। যেটা তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক দম্পতির স্বীকৃতি দিয়েছে। মোরার জন্ম ১৯১০ সালের মার্চ মাসে আর কুইনটেরোসের জন্ম ১৯১৫ সালের ১৬ অক্টোবর।
গিনেজ ওয়াল্ড রেকর্ডের বিবৃতি বলছে, ‘কুইনটেরোসের এক কাজিনের বিয়েতে তাদের প্রথম দেখা হয়। সাত বছরের বন্ধুত্বের পর তারা বিবাহ বন্ধনে জড়ান ১৯৪১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। উভয়ের পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেয়ায় কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন।’
পেশায় দুজনই শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। এখন অবসর সময় কাটে নাতি-নাতনিদের নিয়ে। পাঁচ সন্তান ছাড়াও তাদের পরিবারে ১১ জন নাতি-নাতনি আছে। তাদের বড় ছেলে মারা যান ৫৮ বছর বয়সে। তাদের পাঁচ সন্তানের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন।
এই শিক্ষক দম্পতি বলেন, তাদের পরিবার প্রথমে মেনে না নিলেও পরবর্তী সময়ে কয়েক বছরের মধ্যে তাদের এই সম্পর্ককে মেনে নেয় তারা।
তাদের মেয়ে অরা সিসিলিয়া বলেন, ‘আমার মা-বাবা একসঙ্গে মুভি দেখতে যেতে ভালোবাসেন। এছাড়া তারা বাগান করার পাশাপাশি পরিবার ও বন্ধুদের সাথে রাতের ভোজ করতে ভালোবাসেন।’
এই দম্পতি বলেন, ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সততা ও সুশিক্ষা সুস্থভাবে মানুষকে একসঙ্গে বাচঁতে সাহায্যে করে। করোনা ভাইরাসের কারণে তারা এখনো একে অপরের সাথে দেখা করতে পারেননি। তারা তাদের ভালোবাসার মানুষ ও পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।