ডেস্ক রিপোর্ট: স্বপ্ন এবার সত্যি হওয়ার পথে। জাপানে সফলভাবে আকাশে উড়েছে উড়ন্ত গাড়ি। কয়েক বছর ধরেই এই উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিল জাপান। শুক্রবার টেস্ট ড্রাইভে সফলও হয়েছে এই উড়ন্ত গাড়ি।জাপানের স্কাইড্রাইভ ইনক. এই উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করেছে। তাদের তৈরি গাড়ির মডেল নম্বর SD-03। শুক্রবার মধ্য জাপানের টয়োটা টেস্ট ফিল্ডেই ওড়ানো হয় এই গাড়ি। গাড়ির ভেতরে এক ব্যক্তিও ছিলেন। সংস্থাটি ২০১২ সালে জাপানের অটোমেকার টয়োটা, ইলেকট্রনিক্স সংস্থা প্যানাসনিক ও ভিডিও গেম ডেভেলপার কোম্পানি বান্দাই নামকো অর্থায়নে ভলান্টিয়ার প্রজেক্ট শুরু করে। তবে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছিল না। সম্প্রতি জাপান উন্নয়ন ব্যাংকের ৩.৯ বিলিয়ন জাপানি মুদ্রা অর্থায়ন পেয়েছে স্কাইড্রাইভ। শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে স্কাইড্রাইভ। সেখানে দেখা যায়, আটটি প্রপেলারসহ স্লিক মোটরসাইকেলের মতো দেখতে SD-03 নামক এই ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) শ্রেণীর ফ্লাইং কারকে একজন পাইলট টয়োটার টেস্ট ফিল্ডে ৪ মিনিটের জন্য মাটি থেকে ১-২ ফুট উপরে উড়তে দেখা যায়। এরপরই জাপানের স্কাইড্রাইভকে বিশ্বের অগণিত ফ্লাইং কার প্রোজেক্টের মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ সারা বিশ্বে ১০০টির বেশি ফ্লাইং কার প্রজেক্টের মধ্যে কয়েকটি হাতেগোনা ক্ষেত্রে মানুষকে নিয়ে সফল ও পরিমিত টেস্ট ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে আগে। সেই তালিকায় নতুন নাম স্কাইড্রাইভ। জাপানে বহু দিন ধরেই এই প্রজেক্টকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্কাইড্রাইভের প্রধান তোমোহিরো ফুকুজাওয়া। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে তিনি বলেছেন, বিশ্বে ১০০টি উড়ন্ত গাড়ির প্রজেক্টে মানুষকে বসিয়ে নিরাপদ এবং সফলভাবে ওড়াতে সক্ষম হয়েছে খুবই কম সংস্থা। আমরা আশা করি, আমাদের এই উড়ন্ত গাড়িতে মানুষ চড়ে নিরাপদ অনুভব করবেন। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এই ইভিটিওএল-এর সর্বোচ্চ উড়ানক্ষমতা ৫ থেকে ১০ মিনিট। তবে এই সময়সীমা যদি ৩০ মিনিটের হয়, তবে চীনের মতো দেশে রপ্তানির সম্ভাবনা থাকবে। এদিকে ২০২৩ সালের মধ্যেই এই উড়ন্ত গাড়ির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং বিক্রিও শুরু হয়ে যাবে জানিয়েছেন তিনি।
আকাশে উড়লো জাপানের তৈরি উড়ন্ত গাড়ি
0
Share.