মামলা না নেওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

0

ঢাকা অফিস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সোয়া ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে নন্দনপুর গ্রামের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুইপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।গত সোমবার সদর উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে স্থানীয় খাঁটিহাতা গ্রামের ফল বিক্রেতা জাকিরের ছুরিকাঘাতে পাশের নন্দনপুর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (১৫) নিহত হয়। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারেকের বাবা।মামলা না নেওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়কে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর ফলে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, মিনারা বেগম প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে তারেককে হত্যা করেছে জাকির ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা নিয়ে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তাই মামলা নেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলা রেকর্ড করার কথা বললে বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেন। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।গত সোমবার বিকেলে বিশ্বরোড মোড়ে একজন ক্রেতা ফল কিনতে গেলে তারেক ও তার পাশের দোকানের ফল বিক্রেতা জাকির ক্রেতাকে ডাকাডাকি করেন। এ নিয়ে তারেক ও জাকিরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তাৎক্ষণিক অন্য দোকানদাররা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপর সন্ধ্যায় তারেকের বাবা সোবহান মিয়া দোকানে গেলে বিষয়টি নিয়ে আরেক দফা বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে জাকির তার সহযোগীদের নিয়ে তারেককে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তারেককে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক মৃত ঘোষণা করেন।

Share.