ডেস্ক রিপোর্ট: রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্য। এই দুই সেনাসদস্য সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন বলে নিজেরা দাবি করেছেন। তারা হলেন, ৩০ বছরের জাও নাইং তুন এবং ৩৩ বছরের মিও উইন তুন। মিও উইন তুন আরো জানান, তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ পালন করেছিলেন। ওই সময় ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তাদের হত্যার পর সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এক গণকবরে মাটিচাপা দেয়া হয়।ওই একই সময়ে আরেকটি উপশহরে জো নাইং তুন নামের অপর এক সেনা এই কাজ করছিলেন। তিনিও একই ধরনের নির্দেশনা পান। জো নাইং তুন বলেন, তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা ছিলো- ‘শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক-যাকেই দেখবে, মেরে ফেলবে।’ জো নাইং তুন আদালতকে জানান, ‘আমরা সেদিন প্রায় ২০টি গ্রাম ছারখার করেছিলাম। হত্যার পর লাশগুলো গণকবরে পুঁতে ফেলা হয়।’তবে, কীভাবে এবং কার তত্ত্বাবধানে তারা হেগে পৌঁছালো-বিষয়গুলো নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি।জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের মতে, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালানো হয়। তবে মিয়ানমারের সরকার আনুষ্ঠানিক সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।উল্লেখ্য ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষ দলে দলে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমায়। সব মিলিয়ে এখন প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।এর আগে ৭০’র দশক থেকে শুরু করে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা নানা সময়ে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।তবে সবচেয়ে বড় ঢল ছিল ২০১৭ সালে। কক্সবাজারের উখিয়াতে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির বিশ্বের সবচাইতে বড় শরণার্থী শিবির। উখিয়াতে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও ছাড়িয়ে গেছে।রোহিঙ্গা মুসলিমদের অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় মদদে নির্যাতনের শিকার হয়েই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তারা। অবশ্য মিয়ানমার সরকার এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
রোহিঙ্গাদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ ছিলো, মিয়ানমারের দুই সেনাসদস্যের স্বীকারোক্তি
0
Share.