ডেস্ক রিপোর্ট: বিরোধপূর্ণ লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ভারত ও চীন উভয়ই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে তৈরি হয়ে আছে। লাদাখের বিভিন্ন প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে চীনও। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় নতুন করে নির্মাণকাজ শুরু করেছে চীন।এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে তারা বিরোধপূর্ণ সীমান্ত থেকে দ্রুত সৈন্য অপসারণ এবং উত্তেজনা প্রশমনসহ ৫টি বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছান বলে দুই দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কারোরই পক্ষে নেই বলে সম্মত হয়েছেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই পক্ষের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, দ্রুত নিষ্ক্রিয়করণ, যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখা এবং উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়েও রাজি হয়েছেন তারা।পৃথক এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কূটনৈতিক ও সামরিক মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনবে।মস্কোর বৈঠকের বিষয়ে চীন বলেছে, মন্ত্রী ওয়াং ভারতের জয়শঙ্করকে বলেছেন, দু’পক্ষের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক গুলি চালানো ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করা জরুরি।তিনি বলেছেন, সীমান্তে যত কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম অনুপ্র্রবেশ করেছে তাদের সরাতে হবে এবং পরিস্থিতি সামলাতে সীমান্তে মোতায়েন উভয় পক্ষের বাহিনীকে দ্রুত নিষ্ক্রিয় করতে হবে।উল্লেখ্য গেল কিছুদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে লাদাখ সীমান্তে। সম্প্রতি নিজেদের শক্তি প্রদর্শনে ভারি সামরিক সরঞ্জামসহ বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করে ভারত ও চীন। সেখানে ফাঁকা গুলির ছোঁড়ার ঘটনাও ঘটে।গেল জুনে ওই সীমান্তে দুই পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে হাতাহাতি লড়াইয়ে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়। এরপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।আলোচনার পর দু’দেশ যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, কোন পক্ষই সীমান্তে অস্থিরতা চায় না
মস্কোতে বৈঠক, যুদ্ধ থেকে সরে আসলো চীন-ভারত
0
Share.