ঢাকা অফিস: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিনগত রাতে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আছড়ে পড়ার পর রবিবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন শেখ হাসিনা। নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রবিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ একথা জানান। হাছান মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত থেকেই মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন তিনি। হাছান মাহমুদ জানান, সরকারের প্রস্তুতির কারণেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সরকার ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত নয় বলে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আয়নায় আগে নিজেদের মুখ দেখুন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল তাতে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। এরপর তারা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সরকারের প্রস্তুতির কারণে যত লোক মারা যাওয়ার কথা ছিল তত মারা যায়নি। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর বাংলাদেশ সফরে আসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকের দিনে খালেদা জিয়া সাতটি শাড়ি পরিবর্তন করেছিলেন। নূর হোসেন সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, নূর হোসেনসহ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি। তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেইসঙ্গে ভাত ও ভোটের অধিকার পেয়েছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুলবুলের কারনে প্রধানমন্ত্রী নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন: তথ্যমন্ত্রী
0
Share.