ঢাকা অফিস: হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর মরদেহ চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছেছে। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি তার স্মৃতিবিজড়িত মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে পৌঁছায়, যেখানে তিন দশকের বেশি সময় শিক্ষকতায় কেটেছে তার। দুপুর দুইটায় জানাজা শেষে মাদ্রাসার কবরস্থানেই তাকে শায়িত করা হবে।শনিবার ভোর চারটার দিকে হেফাজত আমিরের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়। দেশের প্রবীণ এই আলেমের অনুসারীদের একটি পক্ষ থেকে ঢাকায় জানাজা করার দাবি করা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় জানাজা ও দাফন হবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায়।চট্টগ্রামে উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আল্লাম শফীর মরদেহ রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাদ মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজারো অনুসারীরা শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান প্রবীণ এই আলেমকে। পরে সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় শফীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি। প্রখ্যাত এই আলেমের মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই অন্যরকম এক আবহের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহ পৌঁছার পরই অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেকে ভিড়ের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সটি ছুয়ে দেখেন।দুপুর ২টায় হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই জানাজা হবে। এরপর মাদ্রাসার কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হবে প্রখ্যাত এই আলেমকে।জানাজাকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রামের চার উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতালে মারা যান আল্লামা শফী। তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
স্মৃতিবিজড়িত হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফীর মরদেহ
0
Share.