ভারতে আল কায়েদার সক্রিয় ৯ সদস্য গ্রেপ্তার

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ থেকে আল-কায়েদার ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। একই সঙ্গে কেরালা থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংগঠনের আরও  তিনজনকে। ওই ৯ জন রাজধানী দিল্লিকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। শনিবারের ভোরদিকে অভিযানে ওই ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর এনআইএ গোয়েন্দাদের এমনটাই জানিয়েছে। খবর আনন্দবাজারের।তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত থেকেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল, জলঙ্গি এবং জঙ্গিপুরের ১১টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। সামশেরগঞ্জ এবং মালদহে এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে এনআইএয়ের একটি সূত্র। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জনকে আজ কলকাতার বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হবে। এনআইএ সূত্র বলছে, আটককৃত নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল এবং আতিউর রহমানরা ডোমকল এবং জলঙ্গির বাসিন্দা। এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি ডোমকলে এবং বাকি দুজন জলঙ্গির। গোয়েন্দাদের দাবি, তারা প্রত্যেকেই আল কায়েদার ভারতীয় শাখার সক্রিয় সদস্য। একই সময় কেরালার এরনাকুলামে অভিযান চালিয়েছে এএনআই। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারফ হোসেনকে। এদিকে আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে মামুন কামাল এবং মইনুল মণ্ডল। তারা দুজনেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এই দুজনের পরিবারের দাবি, কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতো মামুন ও মইনুল। মইনুলের বাবা ও স্ত্রী জানিয়েছেন, শনিবার সকালে পুলিশ এসে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। লকডাউনের কারণে কেরালা থেকে বাড়িতে ফিরেছিল মইনুল। তবে ছেলেকে কি কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন মইনুলের বাবা। একই দাবি মামুন কামালের পরিবারের সদস্যদের। মামুনের স্ত্রী বলেন, কেরালায় কাজ করতো তার স্বামী। গ্রামে ফিরে ছোটখাটো কাজ শুরু করে লকডাউনের পরে। কেন তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলো এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এনআইএয়ের গোয়েন্দাদের দাবি, কেরালা থেকেও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যেও দুজন মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। পুরো নেটওয়ার্ক চলছিল মুর্শিদাবাদ থেকেই। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জিহাদি বইপত্র থেকে শুরু করে বিস্ফোরক, ধারাল অস্ত্র, আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস), বডি আর্মার অর্থাৎ ঢালের মতো জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, আল কায়েদার এই ভারতীয় শাখা ‘কায়দাতুল জিহাদ’ বা ‘আল কায়েদা ইন সাব কন্টিনেন্ট’ দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে বসে তাদের সংগঠনের বিস্তার ঘটাচ্ছে। পাকিস্তান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা সদস্য সংগ্রহ করেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এই মডিউলটির পরিকল্পনা ছিল দিল্লির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষদের হত্যা করা।

Share.