ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নৌ বিভাগ ১৮৮টি সামরিক ড্রোন ও হেলিকপ্টার পেয়েছে। আর এসব ড্রোন ও হেলিকপ্টার তৈরি করেছে ইরানের বিমান শিল্প সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নৌ ইউনিটের কাছে সমরাস্ত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি নিজে উপস্থিত ছিলেন। এই নতুন ড্রোনগুলো স্থিতিশীল ও চলমান লক্ষ্যবস্তুর নিখুঁত ছবি ও ভিডিও সরবরাহ করতে সক্ষম। এ কারণে এখন থেকে নৌবাহিনীর যেকোনো অভিযান পরিচালনায় ড্রোনের সহযোগিতা নেয়া হবে। বলেছেন আইআরজিসি’র নৌ ইউনিটের প্রধান আলিরেজা তাংগসিরি। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাহিনীতে আজ যেসব ড্রোন যুক্ত হয়েছে তার মধ্যে তিন ধরণের নতুন ড্রোনও রয়েছে। এসব ড্রোন জলযানের ওপর থেকে উড়ে গিয়ে তাদের অভিযান পরিচালনা করতে পারে। যে তিনটি ড্রোন জনসমক্ষে আনা হয়েছে সেগুলো হলো, ‘সেপেহর’, ‘শাহাব-টু’ এবং ‘হুদহুদ-ফোর’। এছাড়া ‘মোহাজের-৬’ মডেলের ড্রোন পেয়েছে আইআরজিসি’র নৌ ইউনিট। মোহাজের-৬ ড্রোন চারটি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে দুইশ’ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। যেকোনো ধরণের আবহাওয়ায় এটি অভিযান চালাতে সক্ষম। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি দেশে তৈরি ড্রোন বহরের সাহায্যে আমেরিকার নৌবহরের সার্বিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেছে। গত শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস নিমিটজের নেতৃত্বে আমেরিকার নৌবহরটি পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করেছে। এটি হরমুজ প্রণালীও অতিক্রম করে। প্রথম থেকেই মার্কিন নৌবহরের সার্বিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেছে ইরানের ড্রোন বহর। ইরানের তৈরি এসব ড্রোন পারস্য সাগরে আমেরিকার নৌবহর গুড়িয়ে দিতে সক্ষম বলে জানান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। জানা গেছে, ইরানে প্রতিরক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বুধবার আইআরজিসি’র নৌ বিভাগের কাছে ড্রোন ও হেলিকপ্টার হস্তান্তর করা হয়। এম
আমেরিকাকে মোকাবিলা করতে আইআরজিসি পেলো ১৮৮টি ড্রোন
0
Share.