ঢাকা অফিস: এইচএসসি পরীক্ষার (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা- বিএম) উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করে ফল প্রকাশ করায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বিটিইবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও একজন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বরখাস্ত হওয়ারা হলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী সুশীল কুমার পাল এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল আলম। গতকাল বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, দুই কর্মকর্তা ২০১৯ সালের উল্লিখিত পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করেন। এদিকে উল্লিখিত ২ কর্মকর্তাসহ বিটিইবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার আরও কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। লিখিত আদেশের কপিতে বলা হয়, ২০১৯ সালের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা জালিয়াতি করে ১২৮ শিক্ষার্থীকে পাস করানো হয়েছে। ৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে লেখাপড়াই করেনি। অথচ সরাসরি এসএসসি পাস করানোর ব্যবস্থা করে দেয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটে বোর্ডের ৬ কর্মকর্তাসহ ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। বিটিইবির তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন, কম্পিউটার সেলের প্রধান সিস্টেম অ্যানালিস্ট সামসুল আলম, ৩ জন সহকারী প্রোগ্রামার- মোহাম্মদ হাসান ইমাম, মোহাম্মদ শামীম রেজা ও ওমর ফারুক। ২জন কম্পিউটার অপারেটর- মো. আল-আমিন ও আতিকুর রহমান। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, বরখাস্ত ২ জনসহ বিভিন্ন সময়ে ফল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দুদকের মাধ্যমে অনুসন্ধান চালালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাবে। এছাড়া, বোর্ডের পরিদর্শন, কম্পিউটার সেল এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পত্তির অনুসন্ধান করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
উত্তরপত্র না দেখে ফল প্রকাশ: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বরখাস্ত ২
0
Share.