মন্ত্রীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে : রিজভী

0

ঢাকা অফিস: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী মন্ত্রীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কিছুদিন ধরে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের মুরব্বি পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সুতরাং সব কূল হারিয়ে সরকার মনে হয় স্বস্তিতে নেই। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা এড়াতেই তথ্যমন্ত্রী বিদেশে ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। আওয়ামী তথ্যমন্ত্রী হাওয়া থেকে পাওয়া তথ্য দিতেই পারঙ্গম।’ আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।রুহুল কবির রিজভী বলেন, “তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরোনো। হঠাৎ করে তথ্যমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য জনগণের মনে ঘোরতর সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। মনে হয় তাঁর মন্ত্রিত্ব এখন টালমাটাল অবস্থায় আছে। আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা যখন খুব বিচলিত ও বেকায়দায় পড়েন, তখনই তাঁরা ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব আবিষ্কার করেন।”‘বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার অলিগলি খুঁজছে’—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘বিএনপি অলিগলি খুঁজবে কেন? বিএনপি তো অবৈধ সরকারের পতনের জন্য প্রশস্ত রাজপথেই আন্দোলন করছে। ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে রাজোচিত জীবন নির্বাহ যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্যই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা কানা গলি দিয়ে কখনো বিনা ভোটে, কখনো রাতের ভোটে ক্ষমতায় আছেন। অলিগলি ওবায়দুল কাদের সাহেবদেরই অবলম্বন করতে হয়, কারণ তারা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপনে বাধ্য করে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে।’পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আজ শনিবার পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে কয়েক দিন থেকেই চলছে ধানের শীষের প্রার্থীর সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের জুলুম-নির্যাতন। পাশাপাশি চলছে পুলিশি ধরপাকড়। আজ নির্বাচন চলাকালে বিএনপির কোনো এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না। দুদিন আগে থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। আটঘরিয়া থানায় তিনটি ও ঈশ্বরদী থানায় তিনটি গায়েবি মামলা দিয়ে পুলিশি অভিযানের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকাছাড়া করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঈশ্বরদী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কল্লোল, পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ভাই বিএনপি নেতা বিপ্লব, সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুল এবং সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য ও বিএনপি নেতা আবদুল হাইসহ ১৫ থেকে ২০ নেতাকর্মীকে।’

Share.